মেয়েদের আকিকার নিয়ম এবং দোয়া (এখানে দেখুন)

আপনারা কি আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? অথবা আকিকার গোস্ত খাওয়ার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন? অথবা আকিকার জন্য ছাগলের বয়স কত হবে এই সকল বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন?

যদি আপনারা এই সকল বিষয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। আমরা আজকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব মেয়েদের আকিকা দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।

এছাড়াও আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো আকিকার গোস্ত খাওয়ার নিয়ম ও আকিকার জন্য ছাগলের বয়স কত হবে এ বিষয়ে। আকিকা হচ্ছে ইসলামী শরীয়তের একটি বিধান এবং আল্লাহ তায়ালার একটি সুন্নত এবাদত।

প্রত্যেক পিতা-মাতারই তার সন্তানের প্রতি বিভিন্ন ধরনের কর্তব্য রয়েছে। এ সকল কর্তব্য গুলোর মধ্যে সন্তানের আকিকা দেওয়া পিতামাতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য।

আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক পিতা-মাতাকে তার সন্তানের আকিকা দিতে বলেছেন। আকিকা হচ্ছে সন্তান জন্মগ্রহণের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ এবং সন্তানের কল্যাণ কামনার জন্য আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে আল্লাহর ওয়াস্তে পশু কুরবানী করা।

আকিকা দেওয়ার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সেই নিয়ম মেনে আকিকা দিতে হয়। তা নাহলে আকিকার সুন্নত আদায় করা হয় না। আকিকার পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা নিয়ম রয়েছে।

আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কারো যদি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে সে তার ছেলের জন্য দুটি ছাগল কোরবানি দিবে। আর যদি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে

তাহলে এই মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল কুরবানী করবে। আকিকা দেওয়ার আরো কিছু নিয়মকানুন রয়েছে আকিকা দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে সন্তান জন্মদানের সপ্তম দিন।

এই দিনে সন্তানের আকিকা দিয়ে সন্তানের সুন্দর একটি নাম রাখতে হয় এবং সন্তানের চুল কেটে সেই চুলের ওজন পরিমাণ রুপা গরিবদেরকে দান করতে হয়।

আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক পিতা মাতাকে বলেছেন সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা দিতে। কিন্তু অন্য এক হাদীসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে,

কেউ যদি কোন সমস্যার কারণে বা অভাবের কারণে সন্তান জন্মের সপ্তম তম দিনে আকিকা দিতে না পারে তাহলে সে চৌদ্দতম দিনেও আকিকা দিতে পারবে। সে যদি চৌদ্দতম দিনেও আকিকা দিতে না পারে তাহলে

সে একুশতম দিনে আকিকা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে তার আকিকার সুন্নত আদায় করা হবে। আকিকার পশু জবাইয়ের পর আকিকার গোশত খাওয়া নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার রয়েছে।

কিন্তু ইসলামী শরীয়তে গোস্ত খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে পিতা মাতা নিজেরাও ওই আকিকার গোস্ত খেতে পারবে। আত্মীয়-স্বজনদেরকে খাওয়াতে পারবে এবং গরীব দুঃখীদেরকে দান করতে পারবে।

আকিকা দেওয়ার জন্য যে পশু নির্বাচন করা হয় সেই পশুর বয়স নির্ধারণ করা খুবই জরুরী। কারণ আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পশুর বয়সের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ যদি আকিকা দেওয়ার জন্য ছাগল নির্বাচন করে থাকে

তাহলে সেই ছাগলের বয়স হতে হবে কমপক্ষে এক বছর। ছাগলের বয়স যদি এক বছর না হয় তাহলে আকিকা দেওয়া হবে না। তাই আমাদের আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পশু নির্বাচনে পশুর বয়স এর দিকটি মাথায় রাখতে হবে।