গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন ২০২৪ (আবেদন করার নিয়ম দেখুন)

প্রতিবছরই আমাদের দেশের অসংখ্য নারী গর্ভবতী হচ্ছেন। কিন্তু এ সকল গর্ভবতী নারীদের মধ্যে অনেক নারীরা রয়েছেন যারা পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন বা অপুষ্টিতে ভুগছেন। গর্ভবতী অবস্থায় প্রতিটি নারীর পুষ্টিকর বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া উচিত

এবং তাদের স্বাস্থ্য সচেতন থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের অনেক মানুষ দরিদ্র সীমানার নিচে বসবাস করেন। যার ফলে আর্থিক সমস্যার কারণে অনেক গর্ভবতী মায়েরা তাদের নিজেদের যত্ন নিতে পারছেন না বা পুষ্টিকর বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারছেন না।

আর তাই এই সকল গর্ভবতী মায়েদের কথা চিন্তা করে দেশের সরকার গর্ভবতী ভাতা প্রদান করছেন। আর এই গর্ভবতী ভাতা পেতে হলে প্রথমে আবেদন করতে হয়। আপনারা কিভাবে গর্ভবতী ভাতা জন্য আবেদন করবেন

বা অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে পারবেন এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আজকে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেইসাথে আমরা এখানে গর্ভবতী ভাতার আবেদন ফরম প্রকাশ করব। আপনারা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন।

বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামের দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের কে গর্ভকালীন ভাতা বা মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে এ সকল ভাতা পেতে হলে বা ভাতার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু শর্ত মানতে হবে।

যেমন এই ভাতা পাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাদেরকে আবেদন করতে হবে। আবেদন না করলে আপনারা কখনো ভাতা পাবেন না এবং ভাতার জন্য আপনাদের বয়স সর্বোচ্চ ২০ বছর হতে হবে।

আপনাদের মাসিক ইনকাম ১৫ হাজার টাকার ভিতরে হতে হবে। এই ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা শুধুমাত্র আপনাদের প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে ভাতা পাবেন এবং দুই সন্তানের ক্ষেত্রে সর্বমোট তিন বছর এককালীন মাতৃত্বকালীন ভাতা আপনারা পাবেন।

এ ভাতা পেতে হলে আপনাদের আবেদন করার পর ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে হবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তাগণ তখন সকল তথ্য তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত ভাবে মাতৃত্বকালীন ভাতা বা গর্ভবতী ভাতার জন্য নির্বাচন করবেন।

আপনারা চাইলে বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেও এই ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন। গর্ভবতী ভাতা বা মাতৃতকালীন ভাতা যদি পেতে চান বা আবেদন করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাদেরকে http://103.48.16.6:8080

গর্ভবতী ভাতা অনলাইন আবেদন

এই ওয়েবসাইটিতে প্রবেশ করতে হবে। ওয়েবসাইটিতে প্রবেশ করার পর আপনারা সেখানে গর্ভবতী ভাতার জন্য এটি আবেদন ফরম দেখতে পাবেন। পরবর্তীতে সেই ফরমে যে সকল তথ্যগুলো চাওয়া হবে সকল তথ্য পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

এরপর আপনাদেরকে কিছু ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র আপনাদের নিজ ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে হবে। যেমন- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, সরকারি ভূমিকর্তা কর্তৃক সনদ, ভোটার আইডি কার্ড, ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন, গর্ভকালীন সনদ নাগরিক সনদ ইত্যাদি।

অনেকেই আছেন যারা গর্ভবতী ভাতা বা মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করতে চান এবং আবেদন করার জন্য আবেদন ফরমটি দেখতে চান অথবা প্রিন্ট করতে চান। তাই আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য কতগুলো পোস্ট গর্ভবতী ভাতার

বা মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন ফরম এর একটি পিডিএ প্রকাশ করেছি। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সেই আবেদন ফরমের পিডিএফটি দেখতে পারবেন এবং ডাউনলোড করতে পারবেন।