ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ (এখানে দেখুন)
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ? অথবা ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয় কি এই সকল বিষয় জানতে চাচ্ছেন? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্যই। আমরা আজকে এই পোস্টে এই বিষয়গুলোতে আলোচনা করব।
তাই দেরি না করে পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমাদের মুসলমানদের কাছে হযরত মুহাম্মদ সাঃ হচ্ছেন প্রিয় মানুষ। তিনি একজন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। আমরা অনেকেই তাকে ভালোবাসি।
তিনি আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় মহানবী। তিনি মক্কার কুরাইশ বংশে 12 রবিউল আউয়াল এর জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনটিকে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকি।
যদিও কারো জন্মদিন অথবা মৃত্যু দিন পালন করা সম্পর্কে ইসলামে নিষেধ করা হয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা নিয়ে অনেক আলেম-ওলামাদের দ্বিমত রয়েছে। অনেক আলেম-ওলামা বলেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা যায়।
আবার অনেক আলেম ওলামা বলেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা যাবে না। অনেক আলেম-ওলামাদের মতে, ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা জায়েজ নয়। তাদের মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা জায়েজ নয়।
কারণ কারো জন্মদিন অথবা মৃত্যুদিন পালন করা ইসলামে নিষেধ রয়েছে। তাছাড়া জন্মদিন অথবা মৃত্যুদিন উপলক্ষে কোন আলাদা কর্মকাণ্ড করা উচিত নয়। এই সকল কারণে সে সকল আলেম-ওলামারা বলে
থাকেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা আমাদের উচিত নয়। তাছাড়া তারা এটাও বলে থাকেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বেদাত। কারণ বেদাত হচ্ছে সেই সকল এবাদত যে সকল ইবাদত আমরা সওয়াবের আশায় করে থাকি।
কিন্তু নবী আমাদের সেই গুলো করতে বলেননি। এই প্রেক্ষাপটেও আলেম-ওলামারা ঈদে মিলাদুন্নবীকে বেদাত বলে থাকেন। আবার অনেক আলেম-ওলামা এই দিনটি পালন করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
তার প্রধান কারণ হচ্ছে অনেক মানুষ নামাজ রোজা পড়ে না। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে অনেকেই মসজিদে এসে নামাজ আদায় করে। সেই সাথে অনেকেই ওয়াজ মাহফিলে জমায়েত হয়। এই দিন উপলক্ষে অন্তত মানুষ সওয়াব এর কাজ করবে।
সেজন্য অনেকে এদিন পালন করে থাকেন বা পালন করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। ঈদে মিলাদুন্নবী হচ্ছে নবী মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মদিন। নবী মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মদিন উপলক্ষে যে সকল কর্মকাণ্ড পালন করা হয়
সেগুলো হচ্ছে ঈদে মিলাদুন্নবীর অংশ। এই দিন উপলক্ষে অনেকের মতামত রয়েছে আমাদের অবশ্যই উচিত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। অর্থাৎ মুসলমান হিসেবে প্রতিদিন ফরজ ইবাদত গুলো আমাদের জরুরী।
ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয় সম্পর্কে বলতে চাইলে বিভিন্ন আলেম-ওলামা বিভিন্ন রকম মতামত দিয়েছেন। অনেকে বলেন এই দিনটি পালন করা যাবে। আবার অনেকে বলেন এই দিনটি পালন করা যাবে না।
তাই আপনি যদি এই দিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান বা করনীয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত হবে বিভিন্ন বড় আলেম-ওলামার সাথে আলোচনা করা।
তাছাড়া আমাদের অবশ্যই উচিত ফরজ কাজগুলো ভালোভাবে পালন করা এবং যে সকল কাজে ভেদাভেদ বা মতভেদ রয়েছে সেগুলো পরিহার করা।