ঈদে মিলাদুন্নবীর উৎপত্তি এবং ঈদে মিলাদুন্নবী কি

ঈদে মিলাদুন্নবীর উৎপত্তি এবং ঈদে মিলাদুন্নবী কি

আপনি কি ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমরা আজকে এই পোস্ট এ আলোচনা করব ঈদে মিলাদুন্নবীর উৎপত্তি সম্পর্কে।

তাছাড়া আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়েন তাহলে আরও জানতে পারবেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা উচিত কিনা। এই সকল বিষয়ে জানতে চাইলে পোস্ট সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এই দেশে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় 90% এর মত। মুসলমানদের প্রাণের নবী হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ সাঃ। তিনি সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। মহানবী সাঃ  জন্ম গ্রহণ করেছেন মক্কার কুরাইশ বংশে।

তিনি জন্মগ্রহণ করেন 12ই রবিউল আউয়াল। অনেক আলেম ওলামার মতে,  তিনি মৃত্যুবরণ করেন 12 রবিউল। মূলত মুসলমানরা ঈদে মিলাদুন্নবী বলতে নবীজির এই জন্ম তারিখকেই বুঝে থাকে।

আজকে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করব। ঈদে মিলাদুন্নবীর উৎপত্তি হয়েছে মূলত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে। এই দিনটিতে মুসলমানরা নামাজ কালামে মগ্ন থাকেন।

অনেকে আবার এই দিনটিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে থাকে। অনেক আলেম ওলামার মতে, এই দিনটিতে যেমন নবীর জন্মের দিন। সেই সাথে এই দিনে নবী মৃত্যুবরণ করেন।

তাই আমাদের কখনো উচিত নয় এই দিনটিকে আনন্দ উৎসবের সাথে পালিত করা।অনেক আলেম ওলামার মতে, আমরা যারা ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করি তারা এই দিনটিকে আনন্দ উৎসবে পরিণত করে ফেলেছি।

আলেম ওলামার মতে, আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ঈদে মিলাদুন্নবী কখনোই পালন করা উচিত নয়। আমাদের উচিত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহ ফরজ কাজগুলো পালন করা।

সেই সাথে যে কোনদিন নফল নামাজ পড়া। আবার অনেক আলেমরা বলে থাকেন, আপনি যদি ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে অর্থাৎ মহানবী সাঃ এর জন্ম  উপলক্ষে কোনরকম ইবাদত করতে চান?

সেক্ষেত্রে আপনি ঘরে বসে নফল ইবাদত করতে পারেন। তবে অবশ্যই আমাদেরকে আগে ফরজ নামাজ গুলোর দিকে নজর দিতে হবে। কারণ আমরা নফল ইবাদতের দিকে ছুটে থাকি ফরজ ইবাদত কে বাদ দিয়ে, যা কখনোই উচিত নয়।

আলেম গণের একাংশ বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবী উল্লেখযোগ্যভাবে পালন করা কখনই উচিত নয়। আপনি চাইলে এই দিনটিতে এমনিতেই ঘরে বসে নফল ইবাদত করতে পারবেন।

তবে এটিকে পালন করতেই হবে এরকম কিছু নয়। তাছাড়া জন্মদিন পালন করা কখনো কোনো ভালো কাজ না। তাই আমাদের উচিত জন্মদিন পালন না করা। আমরা এ দিনটিতে নফল ইবাদত করতে পারি।

সেই সাথে গরিব মিসকিনদের দান সদকা করতে পারি। কিছু আলেম বলেন, আপনি যদি এই দিনটিকে উদযাপন করতে চান তাহলে এটি বিদআত হবে। কারণ যেই কাজটি নবীজি করেননি

কিন্তু আমরা মুসলমানরা ভালো কাজ ভেবে করে থাকি সে কাজটি হচ্ছে বেদআত। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মগ্ন থাকা। সেই সাথে নফল ইবাদত  পালন করা।

ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কোন হাদিস নেই। তাছাড়া কোন জন্মদিন অথবা মৃত্যু দিন পালন করা উচিত নয়। কিছু আলেমদের মতে, প্রয়োজনে দান ছদকা করা যায়।

তাই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন না করাই উচিত। আলেমদের একাংশ বলেন, আপনি চাইলে প্রতিদিনের মতো এই দিনে দান সদকা অথবা নফল ইবাদত করতে পারবেন।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।