ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব না সুন্নত [জানতে এখানে ক্লিক করুন]
প্রতিটি বছর ঈদুল ফিতর একবার আসে। ইদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র দিন। প্রতিটি মুসলমান এই দিনের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে।ইদ মানেই আনন্দ।ফিতর শব্দের অর্থ ভেঙে ফেলা।
সারা মাস রোজা রাখার পর মুসলমানগন এই দিনের অপেক্ষা করে থাকে।যেহেতু রমজান মাস শেষ এর দিকে, প্রতিটি মুসলমান ইদের নামাজ আদায় করতে ইচ্ছা পোষন করে থাকে। অনেকে ইদুল ফিতর নামাজ আদায়ের নিয়ম জানেনা।
আজকের আর্টিকেলটিতে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের মধ্যে যারা যারা ইদুল ফিতর এর নামাজ আদায়ের নিয়ম জানেনা আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে
আপনারা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে সক্ষম হবেন।আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের প্রত্যেকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মুসলমানের জন্য ঈদের দিন একটি বিশেষ দিন।
বছরে দুইটি ঈদ আসে। একটি হল ঈদুল আযহা অপরটি ঈদুল ফিতর। এই দুই ইদে মুসলমানগন নামাজ আদায় করে থাকে। ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রতিটি মুসলমানকে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।
কারণ ওয়াজিব ফরজ না হলেও অত্যাবশ্যকীয়। অর্থাৎ ঈদের নামাজ বাদ দেওয়ার অত্যাবশ্যকীয়তা নেই। মুসলমান হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ঈদের নামাজ সহিহ শুদ্ধ ভাবে আদায় করা।
ঈদের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে হয়। জামাতের সাথে আদায় করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা ঈদের নামাজ সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছেন।
অনেকেই আছে যারা ঈদের নামাজ আদায় করার নিয়ম জানেনা।আজকের আর্টিকেলে ঈদের নামাজ আদায়ের নিয়ম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমে দুই রাকাত নামাজের নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বাধতে হবে।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ২০২৩
এরপর সানা পাঠ করতে হবে। এরপর অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হবে। তাকবীর দেওয়া শেষ হলে হাত তুলে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর তৃতীয় তাকবিরে আবার হাত বেঁধে ফেলতে হবে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য
যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। এরপর স্বাভাবিক নামাজ আমরা যেভাবে আদায় করি সেভাবে আদায় করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাত শুরু করার সময় ইমাম যখন কিরাত করে তখন প্রথম রাকাতের মত কিরাত মুখস্ত পড়তে হবে।
যদি মুখস্ত না থাকে তবে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। এরপর অতিরিক্ত তাকবীর দিতে হবে। চতুর্থ তাকবীরের মত সেজদায় চলে যেতে হবে। অতঃপর স্বাভাবিক নামাজের মতই পড়তে হবে। সবশেষে মোনাজাত ধরতে হবে।
এরপর ইমাম সাহেবের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। শাওয়াল মাসের প্রথম দিনে চাঁদ দেখা গেলে তা মুসলমানদের ঈদুল ফিতর হিসেবে পালিত হয়। প্রতিটি মুসলমান বছরে দুইবার ঈদের নামাজ আদায় করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে অনেক মুসলমান ঈদের নামাজ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ভুলে যায়। অনেকে জানেনা ঈদের নামাজ কত রাকাত। ঈদের নামাজ সাধারণত দুই রাকাত।
এই দুই রাকাত নামাজ নফল নামাজের নিয়তে আদায় করতে হয়। প্রতিটি মুসলমানকে সহিহ ভাবে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। আপনাদের মধ্যে যারা যারা ঈদের নামাজ কত রাকাত তা জানতেন না আশা করি তারা আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পেরেছেন।