সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে (আধুনিক এবং বাংলাদেশের সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে)

আমরা যারা সমাজে বসবাস করি। তারা জানেন যে সমাজের সাথে সম্পর্কিত যেসব বিজ্ঞান অধ্যয়ন করা হয় তাকে সমাজ বিজ্ঞান বলা হয়। এখন আপনারা জানেন প্রত্যেক সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা জনক থাকে
যেমন পদার্থ বিজ্ঞানের জনক নিউটন এবং আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জনক আইনস্টাইন। তেমনি সমাজবিজ্ঞানের জনক রয়েছে। সমাজবিজ্ঞানের জনক হচ্ছেন অগাস্ট কোঁৎ। অগাস্ট কোঁৎ ১৮৩৯ সালে সর্বপ্রথম Sociology শব্দটি ব্যবহার করেন
আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে তার একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। অগাস্ট কোঁৎ ১৮৩৯ সালে Sociology শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে জ্ঞানের রাজ্যে সমাজবিজ্ঞানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
তাঁর মাধ্যমেই সমাজবিজ্ঞান একটি বিজ্ঞান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তাই তাঁকে সমাজবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আধুনিক এবং সমাজবিজ্ঞানের জনক কে।
আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের মূল স্থপতি হিসেবে ফরাসি পণ্ডিত এমিল ডুর্খেইম এবং জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার এর নাম উল্লেখযোগ্য। সমাজ বিজ্ঞানের জনক কে কত জানার জন্য যদি ইন্টারনেটের দ্বারস্থ হন।
তাহলে আপনারা সঠিক জায়গায়। আশা করি বুঝতে পারবেন। মানব জ্ঞানের স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে সমাজতত্ত্বের ভিত্তিস্থাপক তাত্ত্বিক হিসেবে, অগাস্ট ক্যোঁৎ, কার্ল মার্ক্স, এমিল দুরক্যা, ম্যাক্স ভেবার, ভীলফ্রেডো প্যারেটো
ও হার্বাট স্পেন্সর এই পাঁচ জন কে গণ্য করা হয়ে থাকে। অগাস্ট কোত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞানের জনক। কিন্তু পরবর্তীতে আরো অনেক বিজ্ঞানের জনক কে বলা হয়। অন্য সমাজবিজ্ঞানের জনক বা আবিষ্কারক অগাস্ট কোঁৎ
এবং আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের জনক (কার্ল মার্কস গ্রিক দার্শনিক প্লেটো, এরিস্টটল, ডায়োজিনিস প্রমুখ সে চিন্তারই উত্তরসূরী পরবর্তী সময়ে আরব দার্শনিক ইবনে খালদুন তার আল-উমরান প্রত্যয় দিয়ে পৃথক একটি শাস্ত্র হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের
যে ভিত্তিস্থাপন করেন, ফরাসি দার্শনিক অগাস্ট কোঁৎ তার পূর্ণতা দেন। আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে, তাদের সমষ্টিগতভাবে থাকা বা বসবাস করাকে সমাজ বলে। আর এই সমাজ নিয়ে বিশেষ জ্ঞান বিজ্ঞান কে সমাজবিজ্ঞান বলা হয়।
পাশ্চাত্য সভ্যতার চিন্তাজগতে বিবর্তন হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান, যা ধর্ম থেকে দর্শনের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানে উন্নীত হয়। তাই সমাজচিন্তার ইতিহাস যেমন যথেষ্ট প্রাচীন, তেমনি একটি স্বতন্ত্র বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞানের সত্তা লাভের ইতিহাস একান্তই সাম্প্রতিক।
১৯ শতকের শেষ দিকে সমাজবিজ্ঞান তার সামাজিকতার একক এবং নজরদারির নিমিত্তে আধুনিক জাতি রাষ্ট্র সমূহের একটি বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করে একে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করে৷ হেগেল সর্বপ্রথম সমাজ
ও রাষ্ট্রের পার্থক্য দেখিয়ে বলেন, মানুষের আর্থিক তাগিদে সমাজ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের জনক কে তার একটি বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। রাষ্ট্র ও সমাজের ধারণা কিভাবে পৃথকীকরণের মাধ্যমেই
সমাজ সম্পর্কে বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তার বিকাশ হতে থাকে। একটি পৃথক বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠায় ডুর্খেইম অনন্য অবদান রয়েছে। আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আর্টিকেল মনোযোগ দিয়ে পরে নিলে এ সম্পর্কে আরও বুঝতে পারবেন।