যোহরের নামাজের পর আমল, দোয়া এবং ফজিলত ক্লিক করে দেখুন
আসসালামু আলাইকুম, আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা কর যোহর নামাজের পর কি কি আমল করতে হয়, নামাজের পরের তাসবিহ সমূহ ও দৈনিক আমল সমূহ নিয়ে। আপনারা যারা যোহর নামাজের পরের
আমল ও নামাজে তাসবিহ সমূহ এবং দৈনিক আমল সমূহ জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন।
নামাজ হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি মূলভিত্তির মধ্যে একটি। মৃত্যুর পর জান্নাতে প্রবেশ করতে হলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে। যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না।
আল্লাহ তায়ালার অন্যান্য ফরয ইবাদত গুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম। আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজগুলো হচ্ছে ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব ও এশা। এই ফরজ ইবাদতগুলো ছাড়াও আল্লাহ তায়ালা
প্রত্যেক মুমিন বান্দা কে আরও কতগুলো সুন্নত ও নফল এবাদত করতে বলেছেন। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর কতগুলো আমল করার কথা বলেছেন।
পাঁচওয়াক্ত নামাজগুলোর মধ্যে যোহরের নামাজ একটি। অনেক মুসলমান ব্যক্তি জানেনা যোহর নামাজের পর কি কি আমল করতে হয়। তাই আজকে আমরা আমাদের পোস্টে আলোচনা করব যোহরের নামাজের পর আমল নিয়ে।
যোহরের নামাজ হচ্ছে 12 রাকাত। চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত নফল। যোহরের নামাজের পর আল্লাহ তায়ালা নির্দিষ্ট কোন আমল এর কথা বলেননি।
তবে যোহর নামাজের পর সুরা ফাতাহ পড়া যায়। আল্লাহ তায়ালার ফরজ ইবাদতগুলোর পাশাপাশি দৈনিক অন্যান্য কতগুলো আমল করলে আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হন এবং ঐ আমলের উছিলাতে আমলকারী
ব্যক্তিকে জান্নাত দান করেন এবং দুনিয়াতে সকল বিপদ থেকে হেফাজত করেন।আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে দৈনিক আমল সমূহ সংক্রান্ত কতগুলো তথ্য আপনাদেরকে জানাবো।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর কতগুলো তাসবিহ পড়তে হয়। নামাজের পর তাসবিহ পড়লে আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তিকে অনেক সওয়াব দান করেন। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব নামাজের পর তাসবিহ সমূহ নিয়ে।
নামাজের পর কি তাসবিহ পড়তে হয় এ বিষয়ে যারা জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন। যে ব্যক্তি ফজরের পর হুওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম, জোহর নামাজের পর হুওয়াল আলিউল আজিম,
আসর নামাজের পর হুওয়ার রাহমানুর রাহীম, মাগরিব নামাজের পর হুওয়াল গফুরুর রাহীম ও এশার নামাজের পর হুওয়াল লাতীফুল খাবীর এই তাসবিহ সমূহ 100 বার পাঠ করবে আল্লাহর রহমতে তার দুনিয়া
ও আখেরাতে মঙ্গল ও কল্যাণ সাধিত হবে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সময়ে তিনটি আমল করতেন। যেমন- আয়াতুল কুরসি, ৩ কুল, ৩ তাসবিহ।
এছাড়াও তিনি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তিনবার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেন। কেউ যদি আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার 7 বার ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর পাঠ করে ঐদিন যদি সে ব্যক্তি মারা যায় তাহলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।