যোহরের নামাজের উপকারিতা, ফজিলত এবং পুরস্কার সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

যোহরের নামাজের উপকারিতা, ফজিলত এবং পুরস্কার সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

নামাজ হচ্ছে অন্যান্য ফরজ এবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদা দান করেন।

আর যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে তাকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হয়। আল্লাহ তায়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য পাঁচটি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার এই নির্ধারিত সময়ে

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়।এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজগুলো হচ্ছে ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব, এশা। আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে যোহর নামাজ

আদায় করলে কি কি উপকার হয় এই বিষয়ে। আপনারা যারা যোহর নামাজের উপকারিতা গুলো জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন। যোহরের নামাজ হচ্ছে 12 রাকাত। কেউ চাইলে 10 রাকাত নামাজ আদায় করতে পারে।

যোহর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয় ঠিক দ্বিপ্রহরের পর সূর্য যখন কিঞ্চিত মাত্র ঢলে পড়ে তখন। যোহরের নামাজের ওয়াক্ত থাকে প্রতিটি জিনিসের ছায়া-এর দ্বিগুণ না হওয়া পর্যন্ত।

হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজের নিয়ম এই ছিল যে, গরমকালে গরমের তীব্রতা কমার পরপর আদায় করতেন আর ঠান্ডায় তাড়াতাড়ি আদায় করতেন। প্রত্যেক নামাজের ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে।

যে ব্যক্তি যোহরের নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক সঠিক সময়ে যোহরের নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাকে বরকত দান করেন।

আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, কেউ যদি দৈনিক আল্লাহর দেওয়া নির্ধারিত সময়ে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা ঐ নামাজী ব্যক্তিকে নামাজ আদায় করার জন্য পুরস্কার দিয়ে থাকেন।

কেউ যদি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তাহলে আল্লাহ দুনিয়াতে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং ঐ নামাজী ব্যক্তিকে সকল বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করেন। যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে

আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে সর্বোচ্চ জায়গা দান করবেন। কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলা নামাজের হিসাব নিবেন। কেয়ামতের দিন নামাজী ব্যক্তির হাত, প,  মুখমণ্ডল সূর্যের আলোর মতো উজ্জ্বল হয়ে থাকবে

এবং নামাজী ব্যক্তিকে নবীগণ ও শহীদদের সাথে জায়গা দিবেন। আল্লাহ তায়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য অনেক ফজিলত দিয়েছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করল

সে যেন সকল পাপ কাজ থেকে তার মনকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করল। যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালা তার শরীর ও মন থেকে সকল গুনাহ মুছে দেন। আল্লাহ তায়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিভিন্ন ফজিলত দিয়েছেন।

আপনারা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়ুন। আমাদের ওয়েবসাইটে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত নিয়ে আরো কতগুলো পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।