নামাজের ইকামত দেওয়ার নিয়ম [আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ সহ]

নামাজের ইকামত দেওয়ার নিয়ম [আরবি এবং বাংলা উচ্চারণ সহ]

আযান হচ্ছে সবচেয়ে সুমধুর সুর। প্রত্যেক ব্যক্তিকে আযানের মাধ্যমে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। প্রত্যেক মুসলমানকে আল্লাহর নির্ধারিত সময়ে দৈনিক

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে আযান দিতে হয়। নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে কেউ যদি আযান দেয় তাহলে তাকে আবার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবার পর আযান দিতে হবে।

আজান দেওয়া হচ্ছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব আযান দেওয়ার নিয়ম, আযানের উত্তর দেওয়ার নিয়ম ও নামাজের ইকামত দেওয়ার নিয়ম নিয়ে। আপনারা যারা আযান কিভাবে দিতে হয়

ও আযানের উত্তর কিভাবে দিতে হয় এই বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। ইকামত দিতে হয় আযান দেওয়ার পর নামাজ শুরু করার আগে। ইকামতের বাক্যগুলো আযানের বাক্যগুলো ন্যায়।

আযান ও ইকামত দেওয়ার নিয়মের মধ্যে সামান্য একটু পার্থক্য রয়েছে। অনেক মুসলমানরাই জানেনা যে নামাজে কিভাবে ও কখন ইকামত দিতে হয়। তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে ইকামত দেওয়ার নিয়ম আপনাদেরকে জানাবো।

ইকামত দেওয়ার নিয়ম জানতে চাইলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন। ইকামত দিতে হয় আযান দেওয়ার পর নামাজ শুরু করার আগ মুহূর্তে ফরজ নামাজ শুরু করার আগে। ইকামত দেওয়া সুন্নত।

ইকামত দেওয়া হয় সাধারণত জামাতে নামাজ শুরু করার আগে।  নামাজ শুরু করার আগে মুয়াজ্জিন সামনে দাঁড়িয়ে ইকামত দিয়ে থাকে। মুয়াজ্জিন যখন ইকামত দেন তখন তা  সকলকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয়।

মুয়াজ্জিন যখন ইকামতে “কদকমাতিস সালাত” বলে তখন তার জবাবে সকলকে বলতে হয় “আকমাহাল্লাহু ওয়া আদামাহ্”। নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার পর আযানের মাধ্যমে প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তি কে নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়।

আযান কিভাবে দিতে হয় তা অনেক মুসলমানরাই জানেনা। তাই আমরা এই পোস্টে আযান দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব।আযান দিতে হয় অজু করে পবিত্র অবস্থায়  মুয়াজ্জিন মসজিদের

মিনারায় বাইরে উঁচু পবিত্র জায়গায় কিবলামুখী দাঁড়িয়ে দুই হাতের শাহাদাত আঙ্গুল দুই কর্ণকুহরে প্রবেশ করিয়ে খুব জোরে ও মিষ্টি সুরে ধীরস্থিরভাবে। আযান যারা দিতে পারবেন তারা হচ্ছেন- মুসলমান বালেগ পুরুষ,

পরহেজগার, যার কণ্ঠস্বর মিষ্টি, যে উচ্চস্বরে শুদ্ধ উচ্চারণ করে আযান দিতে পারবে। আযান দেওয়ার সময় প্রত্যেক ব্যক্তিকে আযানের উত্তর দিতে হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

যখন তোমরা আজান শুনবে তখন মুয়াজ্জিন যা বলে তোমরাও তাই বলবে। আযানের জবাব দেওয়া হচ্ছে মুস্তাহাব। আযান শুরু হলে যাবতীয় কাজকর্ম, কথাবার্তা, এমনকি আল কোরআন পাঠে নিমগ্ন থাকলেও তা বন্ধ রেখে আযানের জবাব দিতে হবে।

মোয়াজ্জিন যখন আযান দেন তখন তার প্রত্যেকটি বাক্য শুনে শ্রোতাদেরকে মনে মনে তা উচ্চারণ করতে হবে। মোয়াজ্জিন যখন আযানে “হাইয়া আলাল ফালা “বলবে তখন এর জবাবে প্রত্যেক শ্রোতাকে বলতে হবে

“লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ “।আর যখন মুয়াজ্জিন ফজরের আযানে “আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম” বলবে তখন শ্রোতাদেরকে বলতে হবে “ছাদ্দাকতা ওয়া বারারতা”।

আযান শেষ হওয়ার পর দুরুদ শরীফ পরে আযানের দোয়া পড়তে হয়। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আযানের পর দোয়া পাঠ করবে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশ করব।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।
Bangla Master