গর্ভবতী মায়ের আমল (১০ মাসের আমল)
আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে গর্ভবতী মায়ের আমল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। এছাড়া আমরা এখানে গর্বের সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল এবং গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক সন্তানের বেহেস্ত তার মায়ের পায়ের নিচে রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মাকেই এই মর্যাদা দান করেছেন। এর কারণ হচ্ছে প্রত্যেক মা তার সন্তানকে গর্ভধারণ করেন আর গর্ভাবস্থায় প্রতিটি মায়ের খুবই কষ্ট
এবং অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। যার ফলে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক নারীকে অধিক মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ছেলে মেয়েকে তার পিতা-মাতার প্রতি সহদর আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাদেরকে সম্মান করার নির্দেশন দিয়েছেন।
যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে অসম্মান করে এবং কষ্ট দেয় সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা এতে অনেক অসন্তুষ্ট হন। গর্ভাবস্থায় বা গর্ভবতী মায়েদের অনেক সতর্কতার সাথে চলাফেরা করতে হয়
এবং বিভিন্ন ধরনের নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয়। ইসলাম যেহেতু একটি পরিপূর্ণ জীবনপন্থা তাই ইসলামেও গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন ধরনের আমল রয়েছে। যে সকল আমলগুলো করার মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদেরকে আল্লাহ তাআলা হেফাজত করেন।
এছাড়া প্রত্যেক মা চায় তাদের সন্তান যেন গর্ভাবস্থায় সুস্থ এবং স্বভাবিক থাকে। যার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে অনেকে দোয়া করে থাকেন। সন্তান গর্ভাবস্থায় সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই বেশি বেশি করে আল্লাহ তায়ালার এবাদত করতে হবে এবং কিছু নিয়ম বা আমল করতে হবে।
যেমন গর্ভবতী মায়েদেরকে প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে। আল্লাহ তাআলার জিকির করতে হবে। সর্বদা আল্লাহ তাআলার এবাদতে মগ্ন থাকতে হবে।
এতে করে গর্ভবতী মায়েদেরকে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য করবেন ইনশাআল্লাহ। অনেকে আছেন যারা তাদের গর্ভে সন্তান যেন ফর্সা হয় এর জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করে থাকেন। কারণ সন্তান দেওয়া এবং না
দেওয়ার মালিক বা ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতেই আছে। তিনি চাইলে কাউকে সন্তান দান করবেন কাউকে সন্তান দান করবেন না। আবার তিনি চাইলে কাউকে কানা, লোলা, কালো, ফর্সা করেন।
গর্ভের সন্তান ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের আমল করতে হয়। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য কতগুলো পোস্টে গর্ভে সন্তান ফর্সা হওয়ার আমল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারাই সকল বিষয়ে জানতে আমাদের অন্য পোস্টগুলো দেখুন।
গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মাকে খুবই সতর্ক থাকতে হয়। বিশেষ করে গর্ভে যখন সন্তান আসে তখন প্রথম কয়েক মাস গর্ভবতী মায়েদের বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আমরা এখানে গর্ভবতী মায়ের প্রথম তিন মাসের সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করব।
অন্তঃসত্ত্বা বা গর্ভাবস্থায় অবস্থায় মায়েদেরকে সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। এছাড়াও দৈনন্দিন খাবার তালিকাতে ও পরিবর্তন আনতে হবে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং বিভিন্ন কাজ পরিহার করতে হবে।
যেমন-ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে, অ্যালকোহল, ক্যাভেন সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। ভারী কোন ধরনের কাজ করা যাবে না। নিয়মিত এবং ঠিকমতো বিশ্রাম নিতে হবে। এগুলো ছাড়াও একজন গর্ভবতী মাকে আরো বিভিন্ন ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।