যাকাতের টাকা মাদ্রাসায় দেয়া যাবে কি এবং এতিম খানায় দেওয়া যাবে নাকি [ক্লিক করে জানুন]
![যাকাতের টাকা মাদ্রাসায় দেয়া যাবে কি এবং এতিম খানায় দেওয়া যাবে নাকি [ক্লিক করে জানুন]](https://i0.wp.com/banglamaster.com/wp-content/uploads/2022/04/1650125056970.jpg?fit=1080%2C810&quality=100&ssl=1)
যাকাত শব্দের অর্থ পবিত্রতা। যাকাত আদায়ের মাধ্যমে সম্পদের পবিত্রতা অর্জিত হয়। সম্পদে বরকত আসে। কোন ব্যক্তির উপর যাকাত ফরজ হলে অবশ্যই তাকে যাকাত আদায় করা উচিত। যাকাত আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হন।
যাকাত আদায়ের মাধ্যমে ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর হয়। গরিবদের সাহায্য করার মন মানসিকতা গড়ে উঠে। যাকাত আদায়ের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে যাকাত আদায় করা উচিত।
আপনাদের মধ্যে অনেকেই যাকাত আদায়ের হিসাব জানেন না। আবার অনেকে জানেনা যাকাত আদায়ের খাতগুলো। আজকের পোস্টে এই সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করা যায় আপনারা যাকাত সম্পর্কে অনেক ধারণা পাবেন। ইসলামের ফরজ ইবাদত গুলোর মধ্যে যাকাত অন্যতম। যে সকল মুসলমানের নিকট নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তাদের উপর যাকাত ফরজ হয়।
যাকাত দেওয়ার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। অনেকে যাকাত মাদ্রাসায় দিতে ইচ্ছা পোষণ করে।যাকাত মাদ্রাসায় দেওয়া যায়।সেক্ষেত্রে যাকাতের অর্থ এতিম ছাত্র অথবা গরীব ছাত্রদের যদি উপকারে আসলে মাদ্রাসায় যাকাত দেওয়া যায়।
মাদ্রাসার গরীব এবং এতিম ছাত্রদের যাকাত দিলে তাদের সমস্যা অনেকটা লাঘব হয়। মাদ্রাসায় এভাবে যাকাত দিলে একদিকে দ্বীনি এলেম শিক্ষা এর জন্য সওয়াব পাওয়া যায় অপরদিকে যাকাতের আদায়ের জন্য সওয়াব পাওয়া যায়।
আপনাদের মধ্যে যারা মাদ্রাসায় যাকাত দেওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন আশা করি তারা পোস্টের মাধ্যমে ধারণা পেয়েছেন। যাকাত প্রদানের কতগুলো খাত রয়েছে।যাকাতের খাত গুলো নিয়ে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে।
যাকাত প্রদানের খাত মোট আটটি। প্রথমটি হলো ফকির। ফকির হল সেই ব্যক্তি যার কোনো সম্পদ নেই। দ্বিতীয় খাত হলো মিসকিন। মিসকিন হল সেই ব্যক্তি যার একবেলা খাবার নেই। তৃতীয় খাত হল আমিলিন।
চতুর্থ খাত হলো মুআল্লাফাতুল কুলুব (চিত্ত জয় করার) পঞ্চম খাত হল ক্রীতদাস। ষষ্ঠ খাত হল ঋণগ্রস্থ। সপ্তম খাত হলো নিঃস্ব ও অসহায় গরীব দ্বীনি শিক্ষারত শিক্ষার্থী এবং অষ্টম খাত হলো অসহায় মুসাফির।
অর্থাৎ মুসাফির ব্যক্তি যাতে বাড়ি ফিরে আসতে পারে তাকে সে পরিমাণ অর্থ প্রদান। আশাকরি আর্টিকেলটির মাধ্যমে যাকাতের খাত গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। ইসলামের পাঁচটি ফরয ইবাদত রয়েছে।
এগুলো হলো কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ এবং যাকাত। আজকের পোষ্টে যাকাত হিসাব করার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। কোন ব্যক্তির উপর যাকাত ফরজ হবে যদি তার নিকট নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে।
তবে অবশ্যই ব্যক্তিকে ঋণ মুক্ত হতে হবে। নিসাব পরিমাণ সম্পদ এর চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাতের জন্য নির্ধারণ করতে হয়। সাধারণত দশ ভাগের এক ভাগ 2.5 শতাংশ হয়।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক কারো নিকট যদি 200 টাকা থাকে তবে তাকে 5 টাকা যাকাত আদায় করতে হবে। কারো নিকট যদি 300 টাকা থাকে তবে তাকে 5.50 টাকা যাকাত আদায় করতে হবে।
এভাবে সম্পত্তির পরিমাণ হিসাব করে যাকাত দিতে হয়। আপনারা অনেকেই আছেন যারা যাকাতের হিসাব সম্পর্কে জানতেন না। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা যাকাতের হিসাব সহজেই করতে পারবেন।