ঔষধের পাইকারী ব্যবসা করার নিয়ম (অনলাইনে ঔষধ বিক্রি)
আমাদের দেশে অনেক বেকার লোক আছেন যারা বিভিন্ন ব্যবসা করতে চান। কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না যে কি ধরনের ব্যবসা করলে তারা লাভবান হতে পারবে। আমাদের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবসাগুলোর মধ্যে ঔষধের ব্যবসা হচ্ছে একটি।
এই ব্যবসাতে অনেক লাভবান হওয়া যায়। তাই আমরা আজকে আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ঔষধের পাইকারি ব্যবসা করার কৌশল সম্পর্কে। এছাড়াও আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফার্মেসী ব্যবসা নিয়ে।
আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনারা উক্ত সকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ব্যবসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সবাই তাদের পুঁজি ও পছন্দ এবং সুবিধা
অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে থাকে। চাকরির চেয়ে ব্যবসা অধিক লাভজনক হওয়ায় এখন অনেকেই চাকরির চেয়ে ব্যবসাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আমাদের দেশে ঔষধের ব্যবসা ও খুবই ভালো একটি ব্যবসা।
অনেকে আছেন যারা ঔষধের পাইকারি ব্যবসা করতে চান। কিন্তু জানেন না যে তারা কিভাবে ব্যবসাটি করলে অধিক লাভবান হতে পারবেন। যার জন্য অনেক সময় অনেক সময় ঔষধের পাইকারি ব্যবসায়ীকে ক্ষতির শিকার হতে হয়।
তাই আমরা আপনাদের জানাবো ঔষধের পাইকারি ব্যবসা করার কৌশল সম্পর্কে। আপনারা যদি ঔষধের পাইকারি ব্যবসা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাদের প্রথমে তিনটি লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে।
সেগুলো হচ্ছে ড্রাগ লাইসেন্স, ফার্মালিস্ট কোর্স কমপ্লিট করা সার্টিফিকেট এবং ট্রেড লাইসেন্স। এই লাইসেন্সগুলো থাকলে আপনি একটি ঔষধের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। ঔষধের পাইকারি ব্যবসায় উন্নতি করতে
হলে আপনাকে ঔষধের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং বিভিন্ন ফার্মেসীর সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। ফার্মেসী ম্যান এর সাথে কথা বলে ঔষধের একটি তালিকা তৈরি করে নিতে হবে।
যেমন যে সকল ঔষধগুলোর চাহিদা সব সময় থাকে সে ঔষধগুলো পাইকারি বাজার থেকে অল্প দামে কিনে আনতে হবে বা বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে কিনে আনতে হবে এবং এলাকার ঔষধের দোকানে গিয়ে ঔষধের অর্ডার নিতে হবে।
একটা ফার্মেসির ব্যবসা করতে হলে আপনাদেরকে যা করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনাদেরকে প্রথমেই বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। ঔষধ রাখার জন্য ভালো জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে
এবং 2 থেকে 5 লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে এবং আপনাদের ফার্মেসিটি যেন কোন হসপিটালের কাছাকাছি হয় তেমন একটি জায়গা বাছাই করতে হবে। ক্রেতার চাহিদার দিকে নজর রাখতে হবে।
যে সকল ঔষধগুলোর চাহিদা বেশি থাকবে সে সকল ঔষধগুলো আপনার ফার্মেসিতে বেশি করে রাখতে হবে। তাহলে আপনি ফার্মেসি ব্যবসা দিয়ে অনেক লাভবান হতে পারবেন।
আপনারা যদি ঔষধের ব্যবসা করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনারা আয়ুর্বেদিক ঔষধের ব্যবসাও করতে পারেন। আয়ুর্বেদিক ঔষধের প্রচলন প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। এখন আমাদের এ বিশ্বের প্রায় বিভিন্ন জায়গাতে আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকান রয়েছে।
আয়ুর্বেদিক ঔষধ সাধারণত গাছপাডলা থেকে তৈরি হয় বলে এই ব্যবসা শুরু করতে বেশি পুঁজির দরকার হয় না। আপনারা যদি ছোটখাটো একটা আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান দেন সে ক্ষেত্রে আপনারা 10 থেকে 15000 টাকার
মধ্যে এই দোকান দিতে পারবেন। এছাড়া আপনারা যদি আয়ুর্বেদিক ঔষধের ডিলারশীপের ব্যবসা করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাদের 5 লাখ টাকা থেকে শুরু করে 15 লাখ টাকা পুঁজি থাকতে হবে।