তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম বাংলা উচ্চারণ সহ এবং সঠিক নিয়ম জানতে এখানে ক্লিক করুন
তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হলে প্রথমে জানতে হবে তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয়, তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় বা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম। তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করলাম তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে।
অনেক মুসলমান ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি আল্লাহকে খুশি করার জন্য সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করে থাকে। এই সুন্নত ও নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ একটি।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ যে যত আমল করুক না কেন সে যদি পাঁচ দৈনিক ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে তাহলে সে কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
Table of Contents
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম বাংলা উচ্চারণ
কেউ যদি মৃত্যুর পর চির শান্তির স্থান জান্নাতে যেতে চায় তাহলে তাকে ইহকালে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেই হবে। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে তার এবাদত এর জন্য আরও কিছু নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কেউ যদি এই নামায আদায় না করে তাহলে তার কোন গুনাহ হয় না। কিন্তু অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। সুন্নত ও নফল নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ হচ্ছে সুন্নত। অনেক মুসলমানই জানেনা যে, কিভাবে বাংলায় তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে হয়।
তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাব কিভাবে বাংলায় তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে হবে। জায়নামাজে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত করতে হলে আপনাদেরকে বলতে হবে
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
“আমি কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে তাহাজ্জুদের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ত করলাম”। অনেকে জানেনা যে, তাহাজ্জুদের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়। তাই অনেকেই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম জানার জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকে।
তাই আজকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নামাজের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহাজ্জুদ নামাজ 2 রাকাত, 4 রাকাত 4 রাকাত ও 12 রাকাত পড়া যায়। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে হয় মধ্যরাতে।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় হচ্ছে রাত বারোটার পর থেকে ফজর নামাজের আগে পর্যন্ত। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে হলে প্রথমে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নিয়ত করতে হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম মিজানুর রহমান আজহারী
এরপর তাকবীরে তাহরীমাহ্ বলে ছানা পড়তে হয়। ছানা পড়ে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলাতে হয়। এরপর রুকু দিতে হয়। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার বসে দুইবার সিজদাহ্ দিতে হয়।
এরপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে প্রথম রাকাতের মতো এক রাকাত নামাজ পড়ে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হয়। তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম facebook
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি মধ্যরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। প্রতি মধ্যরাতে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হন।
তখন তিনি বলেন কোন দোয়াকারী আছে কি? আমি তার দোয়া কবুল করব।কেউ আমার কাছে ক্ষমা চাইবে কি? আমি তাকে ক্ষমা করবো। কোন প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে প্রার্থিত বস্তু দান করব।