আসর নামাজের পর আমল এবং দোয়া সম্পর্কে জেনে নিন
নামাজ হল বেহেস্তের চাবি। মৃত্যুর পর প্রত্যেকটি মুসলমানের নামাজের হিসাব আগে নেয়া হবে। কেউ যদি নামাজের হিসাব দিতে সক্ষম না হয় তবে তার শাস্তি হবে। নামাজ পরলে যেকোনো খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা যায়।
নামাজ পড়ার মাধ্যমে একজন মানুষের মধ্যে অনেক রকম পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। তবে নামাজ অবশ্যই নিখুঁতভাবে পড়তে হবে।নামাজ নিখুঁতভাবে পড়লে তা আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নামাজের পর অনেক আমল রয়েছে।
এই আমল গুলো পড়লে অনেক নেকি পাওয়া যায়। অনেক মানুষ আছে যারা এই আমল গুলো সম্পর্কে জানেনা। আজকের পোষ্টে এসকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং প্রত্যেকের উচিত হবে পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়া।
আসরের নামাজের পর কিছু আমল রয়েছে। এ আমলগুলোর ফজিলত অনেক বেশি।কোন ব্যক্তি যদি শুক্রবারের দিন আসরের নামাজের পর নিম্নলিখিত দুরুদ শরীফ 80 বার পাঠ করে তবে তার 80 বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
দুরুদ শরীফটি হলো- ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা। এছাড়াও আসরের নামাজের পর সূরা নাবা পাঠ করলে আল্লাহতালা সেই ব্যক্তিকে কেয়ামতের
দিন শীতল পানি দিয়ে তৃষ্ণা মুক্ত করবেন।আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা আসরের নামাজের পর আমল গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। দিনের শুরুটা যে নামায দিয়ে হয় তাহলো ফজরের নামাজ।
ফজরের নামাজের অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। ফজরের নামাজের পর অনেকগুলো আমল রয়েছে। এই আমল গুলো সঠিক ভাবে করলে আল্লাহ তাআলা অনেক বেশি খুশি হন।ফজরের নামাজের পর সূরা ইয়াসিন পাঠ করা উত্তম।
এছাড়াও ফজরের নামাজের পর সূরা আর-রহমান পাঠ করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ার পর সাইয়েদুল ইস্তেগফার পাঠ করলে সে ব্যক্তি যদি দিনে মারা যায় তবে সে ব্যক্তি সরাসরি জান্নাতে স্থান পাবে।
এছাড়াও ফজরের নামাজের পর সূরা ইখলাস পাঠ করলে সে ব্যক্তির জন্য জান্নাতে বাড়ি নির্মাণ করা হবে। আপনাদের মধ্যে যারা এই আমল গুলো সম্পর্কে জানতেন না আশা করি তারা পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।
প্রত্যেক নামাজের পর কিছু না কিছু আমল রয়েছে। এ আমলগুলো করা প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য। মাগরিবের নামাজের পর যে আমলগুলো রয়েছে তা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা।
আপনারা যদি মাগরিবের পর আমল গুলো সম্পর্কে জানতে চান তবে আমি বলব আপনারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। মাগরিবের নামাজের পর সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার করে পড়লে তা সুন্নত ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়।
যে কোন বিপদ আপদ থেকে দূরে থাকা যায়। এছাড়াও মাগরিবের নামাজের পর সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করা ভালো। কারণ সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করলে রিজিকের আর কোন সমস্যা থাকে না। এছাড়াও মাগরিবের নামাজের পর আরও একটি আমল রয়েছে।
তাহলো 33 আয়াত। 33 আয়াত পাঠ করে সম্পূর্ণ ঘরে ফু দিলে কোন খারাপ শক্তি ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। সুতরাং আমি বলতে পারি আমাদের আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।