ফজরের নামাজের উপকারিতা [বৈজ্ঞানিক উপকারিতা জানতে এখানে ক্লিক করুন]
প্রত্যেক মুসলমানকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হয়। কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের উপর নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। নামাজ ইসলামের পাঁচটি মূলভিত্তি মধ্যে একটি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজগুলো হলো ফজর, যোহর আসর, মাগরিব ও এশা।
আল্লাহ তায়ালার প্রতি ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফজিলত দিয়েছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ অন্যতম। তাই আজকে আমার এই পোস্টে আলোচনা করব ফজর নামাজ আদায় করলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায়
এবং ফজর নামাজের পর কি কি আমল করা যায়। ফজরের নামাজ এর সময় হচ্ছে 5:03 মিনিট। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মোট 48 রাকাত এর মধ্যে চার রাকাত হচ্ছে ফজরের। এই চার রাকাত নামাজের মধ্যে দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ।
ফজরে প্রথম দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে হয় পরে হয় এরপর দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়তে হয়। আল্লাহর দেওয়া নির্ধারিত সময়ে ফজরের নামাজ পড়তে হয়। ফজরের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন আপনাদের জানাবো।
ফজরের নামাজ পড়তে গেলে প্রথমে আপনাদেরকে নিয়ত করতে হবে। এরপর তাকবীর বাঁধতে হবে। তাকবীর বাধাঁর পর ছানা পড়ে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। এরপর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
এরপর রুকুর তাসবীহ্ দিতে হবে। রুকুর তাসবীহ্ দেওয়ার পর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার সেজদার তাসবীহ্ দিতে হবে। এভাবে দুই রাকাত করে চার রাকাত নামাজ পড়ার পর তাশাহুদ, দরুদ শরীফ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাতে হবে।
এরপর মুনাজাত করতে হবে। ফজর নামাজের কতগুলো উপকারিতা রয়েছে। আমরা এই পোস্টে আপনাদের ফজর নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানাবো। আপনার যদি ফজর নামাজের উপকারিতা জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
প্রতিদিন ভোরের ফজর নামাজ পড়লে মন ভালো থাকে ও শরীর সুস্থ থাকে। যারা অতিরিক্ত ঘুমায় তারা খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যুবরণ করে।আর যারা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে তাদের গড় আয়ু বেশি হয়।
এছাড়াও আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু (আঃ)বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়ে সেই ব্যক্তি আল্লাহর রক্ষণাবেক্ষণের অন্তর্ভুক্ত হয়।এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামাজ আদায় করে
সেই ব্যক্তি সারারাত নামাজের সওয়াব পায়। ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার সবকিছুর চেয়ে উত্তম। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর নামাজের ফজিলত ও সবচেয়ে বেশি।
ফজর নামাজের পর অনেক আমলের কথা বিভিন্ন হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে। বিভিন্ন ওয়াক্ত নামাজের আমল ও ফজিলত ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আজকে আমরা ফজর নামাজের পর কিছু আমল সম্পর্কে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব।
আপনারা যদি ফজরের কিছু আমল শিখতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি পড়ুন। মহানবী সাল্লাল্লাহু (আঃ)বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজর নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে সেই ব্যক্তির জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া কোনো বাধাঁ থাকবে না
এবং যে ব্যক্তি ফজরের নামাজের পর 7 বার আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার এই দোয়াটি পাঠ করবে এবং ওই দিনে বা রাতে মৃত্যুবরণ করবে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এছাড়াও নবী করীম সাল্লাল্লাহু (আঃ) আরো বলেছেন
কেউ যদি সকালে 100 বার ও সন্ধ্যায় 100 বার সুবহানাল্লাহ পাঠ করে সে যেন একশত নফল হজ্ব আদায় করল।যে ব্যক্তি 100 বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে এর সওয়াব আসমান ও জমিনে মধ্যবর্তী স্থান পূর্ণ করে দিবে।