তাহাজ্জুদ নামাজের সময় ২০২৪ [তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কখন শুরু হয়]
আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কখন শুরু হয় এবং তাহাজ্জুদ নামাজের কী কী ফজিলত রয়েছে এই বিষয়ে।
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজীদের বিভিন্ন জায়গায় সুন্নত ও নফল নামায আদায়ের কথা বলেছেন। সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদের নামাজ অন্যতম। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন
ঐ নামাজগুলো আদায় না করলে পরকালে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু কেউ যদি সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় না করে তাহলে তাকে কোনো শাস্তি দেওয়া হয় না। কিন্তু নামাজগুলো অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। এতে আল্লাহ অনেক খুশি হন।
প্রত্যেকটি সুন্নত ও নফল নামাজের ভিন্ন ভিন্ন ফজিলত রয়েছে। সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে আল্লাহ তায়ালা তাহাজ্জুদ নামাজকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। অন্যান্য নফল ও সুন্নত নামাজের চেয়ে তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক বেশি।
তাহাজ্জুদ নামাজ মধ্যরাতের শেষ ভাগে পড়া উত্তম। তাহাজ্জুদের নামাজ 2 থেকে 12 রাকাত পড়া যায়। কেউ যদি তাহাজ্জুদের 12 রাকাত নামাজ না পড়ে তাহলে সে 8 রাকাত পড়তে পারবে।
যদি আট 8 রাকাত না পড়ে তাহলে 4 রাকাত পড়তে পারবে। আর যদি 4 রাকাতও পড়তে না পারে তাহলে 2 রাকাত পড়তে পারবে এতে কোন গুনাহ হবে না। তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
তবে তাহাজ্জুদের নামাজ 8 রাকাত পড়া উত্তম। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাজ্জুদের নামাজ 8 রাকাত পড়তেন। তাহাজ্জুদের নামাজ এর সময় শুরু হয় রাত 12 টার পর থেকে
অর্থাৎ মধ্যরাতে এবং সময় শেষ হয় ফজর নামাজের আগে। রাত 12 টার পর থেকে ফজর নামাজের আগে পর্যন্ত যেকোনো সময় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে হলে
প্রথমে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য নিয়ত করে তাকবীরে তাহরীমাহ্ বেঁধে ছানা পড়তে হয়। এরপর সূরা ফাতিহা পড়তে হয়। সূরা মিলাতে হয়। এরপর রুকু দিতে হয়। সেজদাহ্ দিতে হয়।
এরপর আবার দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে সূরা পড়ে রুকু ও সেজদাহ্ দিয়ে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়। তাহাজ্জুদ নামাজ এভাবে দুই রাকাত দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
অনান্য নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন তার ফজিলত ও অনেক বেশি। তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে মুমিন বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন এবং তার সাহাবীদেরকে ও আদায় করার কথা বলতেন। কারণ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া কবুল করেন।
ক্ষমা প্রার্থনা করলে ক্ষমা করেন ও কোন কিছু চাইলে তাকে প্রার্থিত বস্তু দান করেন এবং অনেক সওয়াব দান করেন। তাই আমাদের প্রত্যেক মুমিন বান্দার উচিত প্রতিরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা