আকীকা করার বিধান কি এবং আকিকা সম্পর্কে কোরআন কি বলে

অনেকেই আছেন যারা তাদের সন্তানের আকিকা দিতে চান। কিন্তু তারা আকিকার সঠিক বিধান সম্পর্কে জানেন না। তাই আমরা আজকে আমাদের এই পোষ্টে আলোচনা করেছি আকিকা করার বিধান নিয়ে।

এছাড়াও আমরা এই পোস্টে আলোচনা করেছি যে নিজের আকিকা নিজে করা যায় কিনা এ বিষয়টি নিয়ে এবং আকিকার মাংস বন্টন নিয়ে।  আপনারা যদি আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন

তাহলে আপনারা আকিকা করার বিধান সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া আপনারা নিজের আকিকা নিজে করা যায় কিনা এ বিষয়ে জানতে পারবেন এবং আকিকার মাংস বন্টন সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আকিকা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার একটি সুন্নত এবাদত। আকিকা হচ্ছে সন্তানের জন্মের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু উৎসর্গ করা। সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার খুবই বড় একটি কর্তব্য হচ্ছে সন্তানের আকিকা দেওয়া।

আল্লাহতায়ালা ইসলামী শরীয়তে প্রত্যেক পিতা-মাতাকে তার সন্তানের জন্য আকিকা দিতে বলেছেন। আকিকা দেওয়ার কিছু ইসলামিক বিধান রয়েছে। আর এই ইসলামিক বিধান নিয়ে আমরা

এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার সন্তানের জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা দিতে বলেছেন এবং সন্তানের সুন্দর একটি নাম রাখতে বলেছেন।

সেই সাথে বলেছেন সন্তানের মাথা চুল ফেলে দিতে এবং সেই চুলের ওজন পরিমাণ রুপা গরিবদের দান করতে। সন্তানের জন্য আকিকা দিলে আল্লাহ তায়ালা ঐ সন্তানকে সকল বালা মুসিবত থেকে হেফাজত করেন।

আর এর জন্যই আমাদের প্রত্যেক পিতা-মাতার উচিত তার সন্তান জন্মদানের সপ্তম দিনে সন্তানের নিরাপত্তা কামনায় এবল আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আল্লাহর রাস্তায় পশু কোরবানি করা।

অনেক পিতা মাতায় আছেন যারা তাদের অভাবের কারণে বা আকিকা করার সামর্থ্য না থাকার কারণে সন্তান জন্মের পর আকিকা দিতে পারেন না। আর এর জন্যই অনেকে আছেন যারা জানতে চান যে নিজের আকিকা নিজে করা যায় কিনা।

তাই আমরা এই পোস্টে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওঅসাল্লাম আকিকা দিতে বলেছেন সন্তান জন্মগ্রহণের সপ্তম দিনে। এক হাদিসে আয়েশা (রাঃ) বলেছেন,

কেউ যদি সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আকিকা না দিতে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে সে চৌদ্দতম দিনে বা একুশতম দিনেও আকিকা দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে তার আকিকার সুন্নত আদায় করা হবে।

কেউ যদি এই সময়গুলোতে আকিকা দিতে না পারে এরপরে সে যদি সামর্থ্যবান হয়ে নিজের আকিকা নিজে দিতে চাই তাহলে তার নিজের আকিকা দেওয়া হবে না। তবে সে চাইলে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আল্লাহর রাস্তায়

পশু জবাই করে গরিব মুসলিমদেরকে খাওয়াতে পারবে। এতে তার সওয়াব হবে। আকিকা দিতে হয় আল্লাহর রাস্তায় পরশু কোরবানি করে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক পিতা-মাতাকে বলেছেন,

কারো যদি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে সে যেন তার ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল কুরবানী করে। আর যদি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তাহলে তার জন্য একটি ছাগল কুরবানী করে।

আকিকার জন্য পশু কোরবানি পর পশুর মাংস তিনটি ভাগে বন্টন করা হয়। একটি ভাগ হচ্ছে নিজেদের জন্য। অন্য একটি হচ্ছে গরিব মিসকিনদের সদকা করার জন্য। আর অন্য একটি হচ্ছে আত্মীয় স্বজনদের খাওয়ানোর জন্য।