কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ [জানতে এখানে ক্লিক করুন]

কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ [জানতে এখানে ক্লিক করুন]

যাকাত প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব যাকাত সম্পর্কে।যাকাত কিভাবে প্রদান করতে হয়, কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে

এবং কতটুকু সম্পদের জন্য কতটুকু পরিমান যাকাত দিতে হয় এ বিষয়ে অনেকের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। আর তাই আমরা আমাদের এই পোস্টে যাকাত সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করব।

আপনারা যারা যাকাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম ও কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চান তাঁরা আমাদের এই পোষ্টের সাথে থাকুন। আমাদের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা যাকাত প্রদানের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

যাকাত হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির মধ্যে একটি। যাকাত আল্লাহ তাআলার একটি ফরজ ইবাদত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন আয়াতে যাকাত আদায় করার কথা বলেছেন এবং যাকাত দেওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন।

আল্লাহ তাআলা যাকাত আদায় করার জন্য কতগুলো সম্পদ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এই সম্পদের উপর মুসলমানদেরকে যাকাত দিতে হয়। কিন্তু অনেকেই এটা জানে না যে কোন কোন সম্পদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে।

তাই আমরা আজকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আল্লাহ তাআলা যেই সম্পদগুলোর উপর যাকাত ফরয করেছেন সেগুলো হচ্ছে – নগদ গচ্ছিত অর্থ, স্বর্ণ-রৌপ্য, মূল্যবান ধাতু ,সোনা রুপার অলংকার,

শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ যা থেকে অর্থ আসে, প্রাইজবন্ড, বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে লভ্যাংশ, কৃষিজাত ফসল, পশুপালন যেমন-30 টির উপর গরু-মহিষ ও অন্যান্য গবাদি পশু এবং 40 টির উপরে ভেড়া ও ছাগল, খনিজ দ্রব্য।

যাকাত আল্লাহ তাআলার একটি ফরজ ইবাদত হলেও সকল ব্যক্তির উপর আল্লাহ তা ফরজ করে দেননি। যাকাত ফরজ হওয়ার কতগুলো শর্ত আছে। যাকাত ফরজ হতে হলে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হয়।

যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয় তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হয় না। নিসাব হচ্ছে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বাদ দিয়ে সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ স্বর্ণ ও সাড়ে 52 তোলা পরিমাণ রুপা

বা এর বাজার মূল্যের পরিমাণ অর্থ এক বছর ধরে নিজস্ব মালিকানায় থাকে তাহলে তাকে যাকাতের নিসাব বলে। কারো কাছে যদি এক বছর যাবত নিসাব পরিমাণ অর্থ না থাকে তাহলে তাকে যাকাত আদায় করতে হবে না।

আল্লাহ তাআলা নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিককে খুব গুরুত্ব দিয়ে সঠিক নিয়মে যাকাত আদায় করতে বলেছেন। কত গ্রাম স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় এ বিষয়টি অনেকে জানেনা।

তাই পাঠকদের জানার সুবিধার্থে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোস্টে কত গ্রাম স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয় এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। স্বর্ণেরও যাকাত দিতে হয়। তবে তা নিসাব পরিমাণ হলে।

যেমন, কারো কাছে যদি 20 দিনার বা সাড়ে সাত তোলা পরিমাণ স্বর্ণ থাকে  তাহলে তাকে ওই স্বর্ণের যাকাত আদায় করতে হবে। আমরা জানি যে, এক ভরি সমান হচ্ছে 11.66 গ্রাম।

1 ভরি সমান যদি 11.66 গ্রাম হয় তাহলে সাড়ে সাত ভরি বা বিশ দিনার হবে 85 গ্রাম। অতএব, কেউ যদি স্বর্ণের যাকাত দিতে চায় তাহলে তার কাছে কমপক্ষে 85 গ্রাম পরিমাণ স্বর্ণ থাকতে হবে।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।