নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
প্রত্যেক নাগরিকের কতগুলো মৌলিক অধিকার রয়েছে।তারমধ্যে ভোটদানের অধিকার অন্যতম। প্রত্যেক নাগরিককে ভোটার হতে হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আজকাল অনলাইনে ঘরে বসে খুব সহজেই রেজিস্ট্রেশন করা যায়।
এতে করে সময়, অর্থ দুই বেঁচে যায়।একজন নাগরিকের জন্য ভোটার আইডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সনদ। একটি ভোটার আইডি কার্ড একজন নাগরিকের পরিচয় বহন করে থাকে। সিম রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে যেকোনো অফিসের কাজে,চাকরিতে ভোটার আইডি কার্ড লাগে।
খুব সাবধানতার সাথে ভোটার আইডি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।কারণবশত কোন ভুল হলেও এখন তা অনলাইনেই ঠিক করা যায়।আজকের এই পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড সম্পর্কে অনেক ধারণা পাবেন বলে আশা করি।
Table of Contents
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
বাংলাদেশের প্রতি তিন বছর পর পর নতুন করে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়। এই কাজটি সম্পন্ন হয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্বারা।
নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব লোকজন বাসায় বাসায় গিয়ে নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করে থাকেন। কারণবশত যারা তালিকা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। তারা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে নতুনভাবে ভোটার হতে পারে।
ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয় প্রত্যেক বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। অনলাইনে কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সহজেই ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করা যায়।
নিজেই নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখবো কিভাবে
এখন ঘরে বসেই ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নেয়া সম্ভব। এতে করে নাগরিককে কোন হয়রানির শিকার হতে হয় না। সময় ও বেঁচে যায়। কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড চেক করা যায়। প্রথমে ওয়েবসাইটে (NID bd onlilne) প্রবেশ করতে হবে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
অতঃপর ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করার সময় রিসিট এর পিছনে যে নাম্বারটি আপনাদের দেওয়া হয়েছিল সে নাম্বারটি ওয়েবসাইটের ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে।ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করার পর নিচে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
সবশেষে পূরণ করা শেষ হলে নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখা যাবে।আপনি চাইলে ভোটার আইডি কার্ড টি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। পরিচয় বিবরণ অপশনে ক্লিক করলে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। আপনি ডাউনলোড করে নিজের মোবাইলে অথবা কম্পিউটারে রেখে দিতে পারেন।আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম পিডিএফ
অনলাইনের মাধ্যমে সঠিকভাবে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করা যায়। ইতিমধ্যে যারা ভোটারের জন্য আবেদন করেছে তাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই।অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন ফরম পূরণ করার সময় খুব সাবধানে পূরণ করতে হবে।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম
নিজের নাম ছাড়া বাকি সকল প্রকার তথ্য বাংলা ইউনিকোড এ পূরণ করতে হবে। সকল কার্যক্রম শেষ করার পর প্রিভিউ অপশনের মাধ্যমে পুনরায় তথ্যগুলো দেখে যাচাই করে নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফর্মটির পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
নিকটস্থ নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।যদি তথ্যসমূহ সঠিক হয় তবে আপনার ভোটার কার্ড তৈরি হয়ে যাবে। খুব সহজে অনলাইনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায় আশা করি পোস্টটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।
ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড
আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আইডি কার্ড বের করার জন্য কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।অনলাইনের মাধ্যমে আইডি কার্ড বের করা যায়।বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হয়। এরপর ফর্ম নামে একটি অপশন থাকে যা পূরণ করতে হবে।
হারানো ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার উপায়
সঠিক তথ্য ফরম পূরণ করার পর রেজিস্ট্রার অপশন এ ক্লিক করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ফরমটি ফিলাপ করতে হবে। সঠিকভাবে পূরণ করা হলে এবার লগইন করার পালা।লগইন অপশন এ ক্লিক করে লগিন করলেই আপনার আইডি কার্ডটি দেখা যাবে।
আইডি কার্ড প্রিন্ট করে নিতে হবে।প্রিন্টার মেশিন দিয়ে আইডি কার্ড বের করে নিয়ে লেমিনেটিং করে নিতে হবে। এবার এই আইডি কার্ডটি যেকোন অফিসিয়াল কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।