রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব [জানতে এখানে ক্লিক করুন]
আল্লাহ তাআলার অন্যান্য এবাদত গুলোর মধ্যে রোজা একটি। ফরজ রোজা ছাড়াও অনেক মুমিন বান্দা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য কতগুলো নফল রোজা রেখে থাকে। আল্লাহ তাআলা রোজার অনেক ফজিলত দান করেছেন।
রোজা হচ্ছে ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির মধ্যে তৃতীয় ভিত্তি। নামাজের পরে ইসলামে রোজার স্থান। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে রোজা রাখতে বলেছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশে রোজা রাখে তার জান্নাতে প্রবেশের পথ খুব সহজ হবে।
আর যে ব্যক্তি রোজা রাখেনা তাকে পরকালে অনেক কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআন মাজীদে রোজার ফজিলত সম্পর্কে কতগুলো আয়াত নাযিল করেছেন। এছাড়াও আমাদের শ্রেষ্ঠ নবী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক হাদিসে রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। অনেক মুসলমান ব্যক্তিরাই জানেনা যে, রোজা রাখলে কি হয় বা রোজার ফজিলত কি।
তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে। আপনারা যারা রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
রোজা প্রত্যেক ব্যক্তির মনকে পরিস্কার করে এবং সকল পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশে রোজা রাখে আল্লাহ তাকে পরকালে বিশেষ মর্যাদা দান করেন। রোজা রেখে যে ব্যক্তি আল্লাহ কাছে দোয়া চাই আল্লাহ তার দোয়া খুব সহজে কবুল করেন।
এক হাদীসে আমাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ রোজাদার ব্যক্তিদের জান্নাতে প্রবেশের জন্য আলাদা দরজা থাকবে। এছাড়াও তিনি আরো এরশাদ করেছেন,
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃযে যে ব্যক্তি রোজা রাখল সে যেন আমার সাথে সাক্ষাৎ করল। সাওম শব্দের অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। যাকে ফারসিতে বলা হয় রোজা। আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব সাওম বা রোজার গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে।
আপনারা যারা এ বিষয়ে জানতে চান তারা আমাদের পোস্টটি পড়ুন। সাওম অর্থ যেমন বিরত থাকা, তাই আমাদেরকে রোজা রাখার পর সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন-কাউকে গালিগালাজ করা যাবে না,
মিথ্যা কথা বলা যাবে না, কারো গীবত বা পরনিন্দা করা যাবে না এবং বড় কোন গুনাহর কাজে লিপ্ত হওয়া যাবে না। রোজা রেখে কেউ যদি আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে তাহলে তিনি ওই রোজাদার ব্যক্তির সওয়াব দ্বিগুণ করে দেন।
এছাড়াও আল্লাহ তাআলা রোজার মাসে দুনিয়াতে অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা নাযিল করেন এবং এই রহমতের ফেরেশতারা রোজাদারদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে। রোজার মাসে কেউ যদি গরীব মিসকিনদেরকে বেশি বেশি দান- খয়রাত করে
তাহলে আল্লাহ তাআলা তার অর্থ-সম্পদ বাড়িয়ে দেন এবং বরকত দান করেন। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সাওম বা রোজা রাখা।রোজা হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সূর্য উদয় হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার
থেকে বিরত থেকে আল্লাহর এবাদত করা। রোজা রাখতে হলে প্রথমে রোজার জন্য নিয়ত করতে হয়। রুগ্ন ব্যক্তি, পাগল, নাবালক ছাড়া আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর রমজান মাসের রোজা ফরজ করে দিয়েছেন।
রোজাদার ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা অনেক সওয়াব ও বরকত দান করেন। যে ব্যক্তি রোজা রাখার পর ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেলে তাহলে তাকে ঐ রোজার জন্য কাজা 60 টি রোজা রাখতে হয়।
কেউ যদি 60 টি রোজা রাখতে সক্ষম না হয় তাহলে তাকে দুই বেলা 60 জন গরিব মিসকীনকে খাবার খাওয়াতে হয়। তাই আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখা।