রোজার ফজিলত সম্পর্কে হাদিস [৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ]
আসসালামু আলাইকুম, আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব রোজার ফজিলত সম্পর্কে, সিয়াম সম্পর্কে এবং সালাত সম্পর্কে। আপনার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের সাথে থাকুন।
রমজান মাস পবিত্র মাস বলে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে রোজা রেখে বেশি বেশি করে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে বলেছেন, কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করতে বলেছেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রেখে এবাদত বন্দেগী করে
আল্লাহ তাকে অনেক সওয়াব দান করেন, সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ তাআলা রোজার মাসে প্রত্যেক ব্যক্তিকে খারাপ কাজ থেকে নিজেকে সংযত রাখতে বলেছেন। আল্লাহ তাআলা রোজার মাসে প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে
তার ধন সম্পদ ও গহনার পরিমাণ অনুযায়ী গরীব মিসকিনদের মধ্যে যাকাত ফিতরা দিতে বলেছেন। রোজা হচ্ছে ফারসি শব্দ। যার অর্থ বিরত থাকা। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপর আল্লাহ তাআলা রোজা ফরজ করে দিয়েছেন।
যে ব্যক্তি রোযা না রাখে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি দেন। রোজা হচ্ছে ইসলামের আনন্য পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে একটি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন হাদিসে
রোজার ফজিলত সম্পর্কে বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রোজার অনেক ফজিলত দান করেছেন। রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা সকল কবরবাসীকে তাদের আজাব থেকে বিরত রাখেন এবং দুনিয়াতে রহমতের ফেরেশতা প্রেরণ করেন।
এ ফেরেশতারা রোজাদার ব্যক্তির জন্যে সারাদিন দোয়া করতে থাকেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে গরীবদেরকে বেশি বেশি করে দান করবে আল্লাহ তার সম্পদ বৃদ্ধি করে দেবেন। এক হাদিসের বর্ণনায় এসেছে আল্লাহ তাআলা
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমজান মাসের সবগুলো রোজা রাখল সে যেন আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করলো। সিয়াম হচ্ছে রোজা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন সিয়াম আমার জন্য। সিয়াম পালনের সময় প্রত্যেক ব্যক্তি কে আল্লাহ তাআলা সকল
পাপ কাজ থেকে নিজেকে সংযত রাখতে বলেছেন। যে ব্যক্তি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার না করে সিয়াম পালন করে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করেন। সিয়ামের হাদিস সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে কতগুলো পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
আপনারা যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো দেখতে থাকুন। এই পোস্টগুলো দেখলে আপনারা সিয়ামের হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
সালাত শব্দের অর্থ হচ্ছে নামাজ।আল্লাহ তাআালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। ইসলামের পাঁচটি মূলভিত্তির মধ্যে সালাত দ্বিতীয়। যে ব্যক্তি সালাত আদায় না করে সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
কারণ সালাত হচ্ছে জান্নাতের চাবি। যে ব্যক্তি সালাত আদায় না করবে আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করবেন। আর যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে তাকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করবেন।
যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তাদের মনের মত চেহারা দেখে চমকাতে থাকবে। আমাদের ওয়েবসাইটে সালাত সম্পর্কে আরো কতগুলো হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে।
আপনার যদি সালাত এর হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য কতগুলো পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে।আপনারা চাইলে সেখান থেকে সালাতে জাতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।