তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল [ক্লিক করে এখুনি জেনে নিন]
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না তাহাজ্জুদের নামাজ কি সুন্নত নাকি নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ কখন কিভাবে পড়তে হয়। তাই আমরা আপনাদের জন্য আজকে তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছি।
আপনারা তাহাজ্জুদ নামাজের বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের পোস্টটি পড়তে পারেন। যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে সে ব্যক্তি মৃত্যুর পর খুব সহজে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে। নামাজ হচ্ছে জান্নাতের চাবি।
মহান আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করবে সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
তার জায়গা হবে জাহান্নামের আগুনে। আল্লাহ তায়ালা এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও পবিত্র কুরআন মাজিদে কতগুলো সুন্নত ও নফল নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন। এই নামাজ গুলোর ভিন্ন-ভিন্ন ফজিলত রয়েছে।
আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব এই সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি নামাজ নিয়ে। সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তি কে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ হচ্ছে সুন্নত। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয় মধ্যরাতে। তবে মধ্যরাতের শেষভাগে তাহাজ্জুদের নামাজ বা রাতের নামাজ আদায় করা উত্তম।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় শেষ হয় ফজর নামাজের আগে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন এবং অন্যদেরকে আদায় করার নির্দেশ দিতেন।
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে মুমিন ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে কেউ যদি আল্লাহর কাছে দোয়া করি তাহলে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ 2 রাকাত, 4 রাকাত, 8 রাকাত ও12 রাকাত হয়ে থাকে। 2 থেকে 12 রাকাত এর মধ্যে যার যত রাকাত ইচ্ছে হয় সেট তত রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারে।
তাহাজ্জুদের নামাজের দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়। কেউ যদি 12 রাকাত পড়তে না পারে তাহলে সে 8 রাকাত পড়তে পারবে। যদি 8 রাকাত পড়তে না পারে তাহলে 4 রাকাত পড়তে পারবে। তাও যদি সে না পারে তাহলে দুই রাকাত পড়তে পারবে।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবসময় 8 রাকাত নামাজ আদায় করতেন। তাই 2 রাকাত, চার রাকাত, 12 রাকাত এর চেয়ে 8 রাকাত নামাজ পড়াই উত্তম।
কেউ যদি মধ্যরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে দেন ও তার দোয়া কবুল করেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা মধ্যরাতে সপ্তম আসমান থেকে দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হন
এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারী বা দুয়াকারীকে ডাকতে থাকেন। কেউ যদি রাতে না ঘুমিয়ে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তির উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাকে অনেক সওয়াব দান করেন।
আপনি যদি তাহাজ্জুদের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে তাহাজ্জুদের নামাজ সম্পর্কে আরো কতগুলো পোস্ট দেওয়া হয়েছে। ওই পোস্টগুলো পড়ে আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।