জুমার দিনের ১১ টি আমল ও ফজিলত (এখানে দেখুন)
আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জুমার দিনের ১১ টি আমল সম্পর্কে জানাবো। এছাড়াও আমরা আপনাদেরকে জানাবো জুমার দিনে আসরের পরের আমল ও জুমার দিনের ১৫ টি সুন্নত সম্পর্কে।
আপনারা যদি এই সকল বিষয়ে জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখুন। আশা করি পোস্টটি দেখলে আপনারা জুমার দিনের বিভিন্ন ধরনের আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী আপনারা আমল করতে পারবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা জুমার দিনকে পৃথিবীর অন্যতম দিন হিসেবে বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। জুমার দিন হচ্ছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। জুমার নামে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে একটি সূরা ও নাযিল করেছেন।
জুমার দিনটিকে সবচেয়ে পবিত্র দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষকে আল্লাহর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুবই গুরুত্বের সাথে জুমার নামাজ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তাই একজন মুসলমান হিসেবে গুরুত্বের সাথে অবশ্যই জুমার নামাজ আদায় করা উচিত। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ, প্রতি শুক্রবারে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজের
পরিবর্তে যে নামাজ ফরজরূপে আদায় করে তাই হচ্ছে জুমার নামাজ। জুমার দিন একটি বিশেষ বা গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে আল্লাহ তাআলা এই দিনে প্রত্যেক মুমিন মুসলিমদেরকে বেশি বেশি করে আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
যার জন্য অনেক মুমিন মুসলমান ভাই-বোনেরা জুমার দিনে বিভিন্ন ধরনের আমল করতে চান।বেশি বেশি করে যদি আল্লাহ তাআলার এবাদত করা যায় তাহলে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করা যায়। তাই জুমার দিনে আমাদেরকে বেশি বেশি করে আমল করতে হবে।
জুমার দিনের কতগুলো আমলের মধ্যে রয়েছে বেশি বেশি করে দুরুদ পাঠ করা, সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করা। এছাড়াও রয়েছে নামাজে কাতার ভেঙে সামনের জন্য না যাওয়া, বেশি বেশি করে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করা,
গোসল করার, সুগন্ধি ব্যবহার করা, খুতবার সময় চুপ থাকা, পায়ে হেঁটে নামাজে যাওয়া, তাহিয়াতুল মসজিদ আদায় করা ইত্যাদি। এই সকল আমলগুলো ছাড়াও জুমার দিনে আরো বিভিন্ন ধরনের আমল করা যায়।
জুমার দিন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম একদিন এবং এটি একটি মর্যাদাপূর্ন দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিন সম্পর্কে বলেছেন দিবস সমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিকতর সম্মানিত।
এই দিনেই আদম আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এই দিনে আসরের পরেই সময়টি কেউ খুবই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের আমলের কথা বিভিন্ন ধরনের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
আমাদেরকে বেশি বেশি করে দোয়া, দরুদ পাঠ করতে হবে, ইস্তেগফার করতে হবে, জিকির করতে হবে। জুমার দিনে যে 15 টি সুন্নত রয়েছে অনেকেই পনেরোটি সুন্নত সম্পর্কে জানতে চান। তাই আমরা এখানে এ বিষয়ে আলোচনা করব।
এই সুন্নতগুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদে আগে আগে যাওয়া, রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম এর নামে বেশি বেশি দূরদ পাঠ করা। ভালোভাবে গোসল করা, ফজর নামাজ জামাতের সাথে পড়া, মনোযোগ দিয়ে ঈমানের খুতবা শোনা,
খুতবা চলাকালীন সময় যদি ঘুম আসে তাহলে জায়গা পরিবর্তন করে বসা ইত্যাদি। এই সকল সুন্নতগুলো ছাড়াও যে সকল সুন্নতগুলো রয়েছে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যকতগুলো পোস্টে জুমার দিনের সেই সকল সুন্নতগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।