এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ম, নিয়ত এবং কিভাবে পড়তে হয় দেখুন
আল্লাহ আমাদের দুনিয়ায় সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত করার জন্য। আমাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। নামাজের মাধ্যমেই মন পরিশুদ্ধ হয়।
তবে নামাজ নিখুঁত হলে তা আল্লাহতালার কাছে তা’আলার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেকে এশার নামাজ পড়ার নিয়ম জানেনা। আমাদের আজকের পোস্টে এশার নামাজ পড়ার নিয়ম
এবং বেতর নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আপনাদের মধ্যে যারা জানেন না তারা জানতে সক্ষম হবেন। তাই পোষ্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন।
অনেকে এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ম জানেনা। আশা করি তাদের জন্য আজকের পোস্টটি কার্যকরী হবে। প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে এশার চার রাকাত ফরজের নিয়ত পাঠ করতে হবে।
এরপর আল্লাহু আকবার বলে বুকে হাত দিয়ে ছানা পাঠ করতে হবে। সানা পাঠ করা শেষ হলে সূরা ফাতিহা এবং অন্য যেকোনো একটি সূরা পড়তে হবে। এরপর হাটুর উপর হাত রেখে সুবহানা রব্বিয়াল আযীম বেজোড় সংখ্যকবার বলতে হবে।
এরপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সিজদায় লুটিয়ে পড়তে হবে। সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বিজোড় সংখ্যক বার বলে আল্লাহু আকবর বলে পুনরায় সেজদা দিতে হবে।
এভাবে প্রতিটি রাকাত শেষ করতে হবে। চতুর্থ রাকাতের বেলায় সিজদা দেওয়ার পর তাশাহুদ, দরুদে ইব্রাহিম এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করে সালাম ফেরাতে হবে। সর্বশেষে মোনাজাত ধরে সালাম শেষ করতে হবে।
আশা করি পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে এশার এবং ফজরের নামাজের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ দিনের শুরু ফজর নামাজ দিয়ে হয়ে থাকে
এবং এশার নামাযের মধ্য দিয়ে দিনের শেষ হয়। এই সময় মুসলমানগন পরিবার পরিজনের সাথে বেশি সময় কাটায়। যার ফলে এশার নামাজের জামাতে শরিক হতে যথেষ্ট অবহেলা এবং গাফিলতি হয়ে থাকে।
এ কারণে এশার নামাজ পড়ার জন্য হাদিসে বেশি বেশি উৎসাহিত করা হয়েছে। এশার নামাজ মোট 17 রাকাত। চার রাকাত সুন্নত, চার রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত, দুই রাকাত নফল, দুই রাকাত নফল এবং তিন রাকাত বিতর।
এশার নামাজ সম্পর্কে আজকের পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।যারা বেতের নামাজ পড়ার নিয়ম জানেন না আশাকরি আমাদের আজকের পোস্টটি পড়ে তারা উপকৃত হবেন।
প্রথমেই দাঁড়িয়ে বেতর নামাজের নিয়ত পাঠ করতে হবে। এরপর আল্লাহু আকবার বলে সানা পাঠ করে সূরা ফাতিহা এবং অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। এরপর সুবহানা রব্বিয়াল আযীম বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে।
অতঃপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সেজদা দিতে হবে। সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে। এভাবে প্রতিটি রাকাত পড়তে হবে।
তবে তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা পড়ে আল্লাহু আকবার বলে দোয়া কুনুত পাঠ করতে হবে। এছাড়াও সিজদার পর তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহিম
এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ করতে হবে। আশা করি বিতর নামাজ সম্পর্কে আপনাদের আর কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না।