সাইকেল চালানোর উপকারিতা ও অপকারিতা, নিয়ম, সময় [সাইক্লিং এর উপকারিতা] দেখুন
নিয়মিত সাইকেল চালালে ওজন কমে সাইকেল চালালে ক্যালোরি খরচ বৃদ্ধি পায় এবং মেটাবলিজম বা বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। সাইকেল চালালে হাইপারটেনশনের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আজকে পোস্টে আমরা সাইকেল চালানোর উপকারিতা, অপকারিতা, সাইকেল চালানোর নিয়ম, অতিরিক্ত সাইকেল চালানোর ফল ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করব।
সাইকেল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি পরিবেশের জন্য উপকারী। সাইকেল চালানো শরীরের শুধুমাত্র বাহিজ্যিক ভাবে ফিট রাখে না অভ্যন্তরীণভাবে ও শরীরকে সুস্থ রাখে। সাইকেল চালানো অনেক উপকারিতা
রয়েছে সেগুলো হলো -সাইকেল চালালে এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত সাইকেল চালালে হূদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়,
যা মালয়েশিয়ার তিনটি প্রধান রোগের মধ্যে একটি। সাইকেল চালানো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় জানা গেছে যে স্ট্যাটিক সাইকেল চালনাের ব্যায়াম নিয়মিত করলেই হার্ড ফেইলিওরের রোগীদের কার্ডিয়াক ফাংশন উন্নত হয়।
মাংসপেশির গঠনের চমৎকার কাজ করে সাইকেলিং বিশেষ করে শরীরের নিচের অংশে গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। সাইকেল চালানো মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়,
সাইকেল চালানো ডিপ্রেশন স্ট্রোক ও অ্যাংজাইটি কমায়, নিয়মিত সাইক্লিং মহিলাদের কোলোসিস্টেমির হার কমায়, শ্বাসযন্ত্রের পেশীকে ট্রেইন করে। সাইকেল চালানো সাইকেল চালানোর উপকারিতা পাশাপাশি
কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো হলো- অতিরিক্ত সাইকেল চালানোর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এর ফলে হাতে ব্যথা হতে পারে, কোমরে ব্যথা হতে পারে হাড়ে চিড় ধরতে পারে।
সাইকেল চালানোর সময় কার্যক্ষমতা, সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দে কিছু উপায়- সাইকেলিং করার সময় অবশ্যই হেলমেট পরুন । কোন প্রকার দুর্ঘটনায় ব্রেইন ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচার জন্য হেলমেট 90 শতাংশ কার্যকারী।
নতুন সাইকেল কেনার ক্ষেত্রে শরীরের সাথে সামঞ্জস্য এমন দেখে সাইকেল কিনুন। আপনি যদি স্থূল হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে উচিত হবে আস্তে আস্তে চালানোর প্রথমে 30 মিনিট করে চালান একটি সমতল জায়গায়।
পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সাইকেল চালানোর ধরণ এবং স্থান পরিবর্তন করুন। সাইকেলিং করার সময় উচিত নরম ও আরামদায়ক সাইকেল চালানোর শর্ট প্যান্ট পরা।
এগুলোতে কুঁচকে যাওয়ার মতো বেশি কাপড় নেই বলে স্কিন ইরিটেশন এর সম্ভাবনা খুব কম। রাতে সাইকেল চালানো পরিহার করুন কারণ,সাইকেলের বেশির ভাগ দূর্ঘটনা ঘটে সন্ধ্যা 6 টা থেকে রাত 9 টার মধ্যে ঘটে।
আপনি যদি রাতে সাইকেল চালিয়ে থাকেন তাহলে উজ্জ্বল রঙের কাপড় অথবা প্রতিফলন ঘটে এমন কাপড় পরিধান। করুন। অনেকক্ষণ যাবৎ উপরের দিকে (পাহাড় বা উঁচু স্থানে) সাইকেল চালানোর
পরে ঢালে এসে প্যাডেল করা ছাড়া যাবে না কারণ, আপনি যখন উঁচু স্থানের সাইকেল চালাচ্ছেন তখন পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে এবং হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পেশিতে অবসাদ দেখা যেতে পারে।
সাইকেল চালানো একটি স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম। এটি শরীরের গঠন সুন্দর কর। শরীরে ভালো কোলেস্ট্রল তৈরি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের তৈরি হার কমায। সাইকেল চালানোর উপকারিতা
সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য নিয়মমাফিক সাইকেল চালাতে হব। অতিরিক্ত কোনো কিছুই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রেও এই কথাটা মাথায় রাখতে হব।
অতিরিক্ত সাইকেল চালানোর ফলে দেহের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন- শরীরের ক্লান্তি ভাব চলে আসে, পেশিতে ব্যথা অনুভব হওয়া হাড়ের সমস্যার সৃষ্টি করা ,কোমর বা পিঠের ব্যথা অনুভব হওয়।