ঈদের নামাজ কয় তাকবীর [বিস্তারিত ক্লিক করে জানুন]
মুসলমানদের জীবনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হলো ঈদের দিন। বছরে ঘুরেফিরে দুইটি ঈদ আসে। একটি হল ঈদুল আযহা। অপরটি হলো ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাসের রমজানের পর ঈদুল ফিতরের আগমন ঘটে।
ঈদুল ফিতরের দিন মুসলমানগন অনেক আনন্দ করে থাকে। একজন আরেকজনের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকে। এছাড়াও মুসলমানগন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় জামাতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকে।
কারণ জামাতের সাথে ঈদের নামাজ পড়লে আল্লাহতালা অধিক খুশি হন এবং অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। আমাদের আজকের আর্টিকেলে ঈদের নামাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
আপনারা আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আশাকরি আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হবেন। ঈদের নামাজ সর্বমোট 2 রাকাত। এই দুই রাকাত নামাজে 6 টি তাকবীর দিতে হয়।
প্রথম রাকাতে তিনটি তাকবীর দিতে হয় এবং দ্বিতীয় রাকাতে তিনটি তাকবীর দিতে হয়। ঈদের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে হয়। ঘরে বসে একা একা নামাজ আদায় করা জায়েজ নয়।
এছাড়া কোনো কারনে ঈদের নামাজ আদায় করা না গেলে তা কাজা হিসেবে আদায় করা যাবে না। কোন কারনে নামায আদায় করা না গেলে চার রাকাত এশরাকের নামাজ আদায় করে নিতে হয়। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে
আপনারা ঈদের নামাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।ঈদের নামাজ সম্পর্কিত এমন আরও অনেক কিছু জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করবেন। প্রথমে ইমামের সঙ্গে তাকবীর তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে হয়।
ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম ২০২৩
এরপর বুকে হাত বেঁধে সানা পাঠ করতে হয়। সানা পাঠ করা শেষ হলে পরপর তিনটি তাকবীর দিতে হয়। তাকবীর তিনটি এমন ভাবে দিতে হবে যাতে প্রথম তাকবীর থেকে দ্বিতীয় তাকবীর যেতে তিন তাসবিহ পরিমাণ বিরত থাকা যায়।
প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীর দেওয়ার সময় বুকে হাত বেঁধে ছেড়ে দিতে হবে। তৃতীয় তাকবীর দেওয়ার সময় আবার হাত বাধতে হবে। এরপর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।
নামাজের বাকি নিয়মগুলো স্বাভাবিক নামাজের মতই আদায় করতে হবে। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোনো একটি সুরা মিলিয়ে পড়ার পর তিনটি তাকবীর দিতে হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীর দেওয়ার সময় বুকে হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে। তৃতীয় তাকবীর দেওয়ার সময় আবার হাত উঠাতে হবে। এরপর নামাজের বাকি নিয়মগুলো স্বাভাবিক নামাজের নিয়মে আদায় করতে হবে।
আশা করি আপনারা যারা 6 তাকবীরের ঈদের নামাজ আদায় করার নিয়ম জানতেন না তারা উপরে নিয়মটি অনুসরন করে খুব সহজে নামাজ আদায় করতে পারবেন। ঈদের নামাজ সম্পর্কে বিভিন্ন ইসলামী পণ্ডিতগণ বিভিন্ন মতবাদ দিয়েছেন।
হানাফী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। অর্থাৎ ঈদের নামাজ কোন ভাবে বাদ দেওয়া যাবে না। হাম্ববলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ। কোন কোন ব্যক্তি মনে করে ঈদের নামাজ ফরজে আইন আবার
কোন কোন ব্যক্তি মনে করে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া। তবে বেশিরভাগ মুসলিমগণ ঈদের নামাজ ওয়াজিব হিসেবে আদায় করে থাকে। আশা করি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে ঈদের নামাজ ওয়াজিব নাকি সুন্নত তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।