প্রিয় মানুষকে নিয়ে কিছু কথা, কবিতা, ছবি, ক্যাপশন, কষ্টের ও রোমান্টিক কথা [দেখে নিন]
জীবন অনেক ছোট, এই জীবনে প্রতিটি পদে বিভিন্ন মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্ক হয়। সেই সম্পর্কের মাঝে কেউ হয়তো থেকে যায় কেউ চলে যায়। জন্মের পর থেকেই আমাদের সম্পর্কের সৃষ্টি এবং মৃত্যুর মাধ্যমে সে সম্পর্কের বিচ্ছেদ।
আমাদের প্রতিটা মানুষের মাঝে ভালো-খারাপ রয়েছে। ভালোকে ভালো বলি বলেই আমরা ভালো মানুষ। আবার খারাপকে খারাপ বলি বলেই আমরা খারাপ মানুষ। ভালো খারাপ মিলিয়েই এই মানব জাতি।
আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে প্রিয় মানুষকে নিয়ে বেশ কিছু কথা এবং স্মৃতি উল্লেখ করব। আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ পড়ুন। আজকের এই পোষ্ট টি কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী।
প্রিয় মানুষ বলতে নির্দিষ্ট কোন মানুষকে বোঝায় না। প্রিয় মানুষের সংজ্ঞা বিভিন্ন রকম। গুরুজনরা একে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। কারো কাছে প্রিয় মানুষ বলতে তার বাবা-মাকে বুঝায়।
আবার কারো কাছে প্রিয়জন’ বলতে তার সন্তান সন্ততি কে বোঝায়। আবার কারো কাছে প্রিয়জন’ বলতে বিবাহের পূর্বঘোষিত তার ভালোবাসার মানুষকে বোঝায়। অনেকের কাছে প্রিয় মানুষ বলতে অন্য কোন ব্যক্তিকে বুঝাতে পারে।
সেজন্যই প্রথমেই বলা হয়েছে প্রিয় মানুষের নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নাই। এমন হতে পারে এসব সম্পর্ক ছেদ করে খুব দূরের সম্পর্কের ব্যক্তিকেও প্রিয় মানুষ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।
প্রিয় মানুষ মূলত দুইজন মানুষের মনের মিলন কি নির্দেশ করে। সেজন্যই আপনার কাছে আপনার প্রিয়জন বলতে কাকে নির্দেশ করছেন সেটা আগে ভেবে দেখুন। তবে আমাদেরকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে
ইসলামের দৃষ্টিতে বাবা-মা স্বামী স্ত্রী সন্তান ব্যতীত এবং আত্মীয়-স্বজন ব্যতীত বিপরীত লিঙ্গের কাউকে প্রয়োজন হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়। আমাদের প্রতিটা মানুষের মধ্যে ভালো-খারাপ রয়েছে।
সেই ভালোবাসা ভালো খারাপ মিলেই আমরা মানুষ। একইরকম ভাবে প্রিয় মানুষের মাঝে বেশ কিছু ভালো খারাপ রয়েছে। আমাদের উচিত মানুষের ভালো গুণগুলোকে গণ্য করা এবং হাজাম খারাপ গুণগুলোকে গণনা না করা।
কেননা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই স্যাক্রিফাইস করতে হবে। এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই স্যাক্রিফাইস বিষয়টি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
কেননা সেক্রিফাইস না থাকলে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকে। আমরা আমাদের এই পোস্টে বেশ কিছু কথা বলেছি প্রেম সম্পর্কে। সেগুলো আপনি পড়ুন আপনার বাস্তবে কতটুকু মিলে যাচ্ছে সেটি পর্যালোচনা করুন।
আমরা যদি প্রিয় মানুষের খারাপ দিকগুলো কে প্রাধান্য দিই, তাহলে আমাদের মাঝে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। আমরা মানুষ আমরা ফেরেশতা না। তাই আমাদের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে খারাপ কোন রয়েছে।
আমাদের সেগুলোকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং প্রিয় মানুষের ভুলগুলোকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখতে হবে। অন্যথায় পারিবারিক জীবনে হোক অথবা অফিসের জীবনে হোক কোন ভাবে আমরা সুখী হতে পারব না।
সুখ বিষয়টা হচ্ছে সম্পূর্ণ আপেক্ষিক। জীবনে সুখী হতে হলে অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় এবং অন্যের দোষ গুলোকে ক্ষমা করে দিতে হয়। তাহলে একজন ব্যক্তি খুব সহজেই সুখী হতে পারে।