রোজা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত এবং আলোচনা ক্লিক করে দেখে নিন
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা হচ্ছে তৃতীয় স্তম্ভ। নামাজের পরে রোজার স্থান। আল্লাহ যেমন প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন তেমনি প্রত্যেক মুসলমানের উপর রমজান মাসের রোজা ও ফরয করে দিয়েছেন।
রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা না রাখে তার অনেক গুনাহ হয় এবং সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারেনা। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে রমজান মাসের রোজা রাখতে বলেছেন।
আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব রোজা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াত, রোজার ফজিলত ও রোজা সম্পর্কে। আপনারা যারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
রোজা সম্পর্কিত কোরআনের আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রোজার ফজিলত কে অস্বীকার করবে এবং রোজা নিয়ে উপহাস করবে সে কাফের হয়ে যাবে। যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশে রোজা রাখবে তাকে আল্লাহ তাআলা জান্নাত দান করবেন।
রোজার আরবি শব্দ হচ্ছে সাওম। একে আমরা ফারসিতে রোজা বলে থাকি। ফরজ রোজা ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কতগুলো নফল রোজাও রাখা যায়। আল্লাহ তাআলা রোজা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের অনেক বর্ণনা দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা সূরা আল বাকারা তে রোজা সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন। আপনারা যদি রোজা সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে থাকুন।
আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলোতে রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি। এই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি। আল্লাহ তাআলা রোজার অনেক ফজিলত দিয়েছেন।
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব রোজার ফজিলত সম্পর্কে। রমজান মাসে রোজা রাখলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করেন।
এক হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশকের সুগন্ধের চেয়ে উত্তম। রোজা হচ্ছে জাহান্নাম থেকে বাঁচার একটি ডাল।
রোজাদার ব্যক্তির জন্য ফেরেশতারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে থাকেন। রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা নাজিম করে থাকেন। রমজান মাসে কবরবাসীদের কে তাদের সকল পাপ কাজের শাস্তি থেকে বিরত রাখা হয়।
সুবহে সাদিক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে পানাহ থেকে বিরত থাকাকে শরীয়তের ভাষায় রোজা বলে। সূর্যাস্তের পর কেউ যদি কিছু পানাহার করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভেঙে ফেলে তাহলে রোজা ভঙ্গকারি ব্যক্তিকে কাযা রোজার সাথে কাফফারা দিতে হবে। রোজা রাখার জন্য আগে রোজার নিয়ত করতে হয়। রোজার নিয়ত করা হচ্ছে ফরজ।
আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের রোজা পাগল, রুগ্ন ব্যক্তি, নাবালক ও মুসাফির ছাড়া ধনী-দরিদ্র, স্ত্রী-পুরুষ, অন্ধ, বধির শ্রমি, মজুর সকলের উপরে ফরজ করে দিয়েছেন।
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন একটি রোজা রেখে আবার ভেঙে ফেলে তাকে 1টির পরিবর্তে কাফফারা স্বরূপ 60 টি কাযা রোজা রাখতে হয়। 60 টি রোজার মাঝে যদি আবার
একটি রোজা ভেঙে ফেলে তাহলে তাকে আবার পুনরায় 60 টি রোজা রাখতে হবে। কেউ যদি 60 টি রোজা রাখতে অক্ষম হয় তাহলে তাকে 60 জন মিসকীনকে 2বেলা খাবার খাওয়াতে হবে।