ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা [এখানে] শিশুদের ও বাচ্চাদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখুন

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা [এখানে] শিশুদের ও বাচ্চাদের ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখুন

কয়েক দিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে বর্ষাকাল। এই বর্ষাকালে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। মশার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া। তবে এগুলোর মধ্যে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রাণনাশের ইঙ্গিত দেয়।

আপনারা চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতি অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগের থেকে দূরে থাকতে পারেন। এছাড়া আর কি কি উপসর্গ দেখা দিলে বুঝবেন আপনার ডেঙ্গু রোগ হয়েছে। সে সকল তথ্য আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানাবেন।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে দশটি তথ্য জেনে নিন এই পোষ্টের মাধ্যমে। আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং দেখে নিন। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অতীতে যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত দুই সপ্তাহে অন্তত আটজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে চিকিৎসক আছেন। কি কি উপসর্গ দেখা দিলে ডেঙ্গুর লক্ষণ প্রকাশ পায়। সে তথ্য আজকে আপনাদের সামনে জানাচ্ছি।

সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর101 থেকে 102 ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পরও আবার জ্বর আসতে পারে। আবার কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে পারে।

এর সাথে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা চোখের পিছনে ব্যথা চামড়ার লালচে দাগ হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও হতে পারে। প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

যেমন – ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন গ্রহণ করা যেতে পারে। এমন নয় যে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, পানি জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

আপনারা কি জানেন ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার কি? আপনারা যদি বুঝতে পারেন যে ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক লক্ষণ এবং প্রতিকার কিভাবে পাওয়া যায়. সে তথ্য আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানাব।

পরে কি করবেন এ বিষয়ে আজকে আমরা আলোচনা করছি। জ্বর, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখে বিশেষত চোখের পেছনের দিকে ব্যথা, মাংসপেশি, হাড় এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি হলো ডেঙ্গুর লক্ষণ।

তবে জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরে ছোপ ছোপ দাগ। এই তিন ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ। এসব লক্ষণ সাধারণত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এক সপ্তাহের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠে।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি জাতীয় খাবার খেতে হবে।

সেজন্য শরবত, ফলের রস, ডাবের পানি, স্যালাইন পানি, ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল এসপিরিন জাতীয় বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবেনা।

ডেঙ্গু জ্বর হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় আমাদের কোমলমতি শিশুরা। শিশুরা তো বলতে পারেনা। তাদের কেমন লাগছে। কিন্তু তাদের উপসর্গ দেখে বুঝতে পারা যায় যে একটি শিশুর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ গুলো সাধারণত সংক্রমণের তিন থেকে চারদিন পরে শুরু হয় এক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রার মাথাব্যথা বমি পেশিতে ব্যথা হতে পারে। সেই সাথে আপনাকে জানতে হবে ডেঙ্গু রোগের প্রতিকার সম্পর্কে।

আপনার আশেপাশে কোন জঙ্গলে অথবা ডোবা-নালা থাকলে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। অহেতুক পানি জমে থাকলে সেখানে মশার বাচ্চা হতে পারে। সেখান থেকে মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগ হতে পারে।

তাই সর্বপ্রথম আপনার বাসস্থান এর আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে এবং কোথাও পানি জমলে কি না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।