নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা [ব্রণের, এলার্জি, চুলের জন্য] নিম পাতার উপকারিতা দেখুন

নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা [ব্রণের, এলার্জি, চুলের জন্য] নিম পাতার উপকারিতা দেখুন

নিম পাতা উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। নিম পাতার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন তাই এটা আমাদের শরীর গঠনে ভূমিকা রাখে। আজকে আমরা নিম পাতার উপকারিতা, অপকারিতা, চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা,

এলার্জির জন্য নিম পাতার উপকারিতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। ত্বক ও চুলের জন্য নিমপাতা দারুণ উপকারী। নিম পাতা ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা দূর হয়, এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে  ও কার্যকরী।

এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্ল্যাকহেডস, বড় ছিদ্র, দাগ দূর করতেও নিম পাতার ব্যবহার করা হয়। নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রক্ত পরিশুদ্ধ করে।

এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিমপাতা দারুন কার্যকরী এ কারণে যেকোনো ধরনের সংক্রামক থেকে বাঁচতে এটি ভূমিকা রাখে।

নিমপাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এর কারণে নিম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। নিয়মিত নিমের তৈরি ক্যাপসুল খেলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

নিমপাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে, এটি দাঁতের প্রদাহ কমাতে কার্যকরী। নিমপাতা হজমের জন্য উপকারী এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান

যা পাকস্থলীর নানা সংক্রমণ সারাতে ভূমিকা রাখে। পোকামাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে। নিম পাতা উপকারী তার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে

সেগুলো হলো- খালি পেটে নিম পাতা বেশি দিন খাওয়া উচিত নয় এতে অনেক সমস্যায় তৈরি হতে পারে। গর্ভবতী মহিলাদের নিমপাতা না খাওয়াই উত্তম কারণ এটি গর্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

শিশুদের জন্য নিমপাতা উপযুক্ত নয় নিমে কিছু পদার্থের মধ্যে রে সিনড্রোমের উপসর্গের কারণ হিসেবে পরিচিত হয়ে থাকে। নিমপাতা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বমি ভাব, দুর্বলতা, মস্তিষ্কে ব্যাধি দেখা দিতে পারে

এটি কোন কোন ক্ষেত্রে শিশুদের মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। কারো যদি লিভারের সমস্যা থাকে তাহলে নিম পাতা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে  খাওয়া উচিত।

নিম পাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে মাথার চুলকানি কমে, চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং নতুন চুল গজায়। শুধুমাত্র চুলে নয় ত্বকের চুলকানিতেও নিম পাতার উপকারী।

নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল ধর্ম মাথার ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী নিম পাতা ও টক দই দিয়ে তৈরি ঘন পেস্ট মাথার স্ক্যাল্প সহ চুলে লাগালে চুলের খুশকি দূর হয় এবং চুলের গোড়া শক্ত হয়।

উকুনের সমস্যা দূর করতে আধাকাপ নারিকেল তেলে 15 থেকে 20 নিম পাতা জাল দিয়ে নিম তেল তৈরি করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে নিম তেল ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যেতে হবে পরদিন সকালে ভালোমতো শ্যাম্পু করে

মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রতি সপ্তাহ দুই থেকে তিন দিন পর পর এই নিয়মে নিম তেল ব্যবহার করলে উকুন পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে। চুল জনিত অন্য কোন সমস্যা না থাকলেও চুল সহজে বৃদ্ধি পেতে চায় না।

এক্ষেত্রে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি চুলের সঠিক যত্ন প্রয়োজন চুলের ত্বকে মরা চামড়া, বায়ু দূষণ, রোদের ক্ষতিকারক আলোর প্রভাবে চুলের বৃদ্ধি কমে যায়। সে ক্ষেত্রে নিমপাতা ব্যবহারে

অনন্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। 1 চা চামচের 3 ভাগের 1 ভাগ নিম পাতার গুড়া এবং 1 চা-চামচ ভুষি এক গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আধাঘন্টা পর চামচ দিয়ে নেড়ে

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোবার আগে এই মিশ্রণটি পান করতে হবে। এই মিশ্রণটি একনাগাড়ে একমাস খাওয়ার পর অ্যালার্জিজনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।