নামাজের উপকারিতা [ক্লিক করে দেখুন] পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপকারিতা ও পুরস্কার
নামাজ মানুষের দেহের কাঠামোগত ভারসাম্য বজায় রাখে। মানুষ যখন নামাজে নাড়াচাড়া করে তখন অঙ্গগুলো স্থানভেদে সংবর্ধিত সংকুচিত হয়ে বিশেষ কাজ করে থাক। আজকে আমরা নামাজের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা কর।
নামাজের উপকারিতা মহান আল্লাহতালা বলেছেন নিশ্চয়ই -নামাজ অশ্লীল অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে, শুধু তাই নয় নামাজ মানুষের শারীরিক মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা সাধনের অন্যতম হাতিয়ার।
নামাজ মানুষদের স্নায়ুবিক, মনস্তাত্ত্বিক, অস্থিরতা, হতাশা, দুশ্চিন্তা, হার্ট অ্যাটাক, হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, ইউরিক এসিড, সৃষ্টি জনিত রোগ, পাকস্থলীর আলসার, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস মেলিটাস, চোখ ও গলা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত। নামাজ মানুষকে সবসময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততা কে শরীরের বাড়তে দেয় না।
নামাজিদের জন্য এটা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে এটা একান্তই সামগ্রিক ব্যায়াম। যার প্রভাব মানুষের সব অঙ্গগুলোতে উপর পড়ে এবং মানুষের প্রতিটঅঙ্গ নাড়াচাড়া ফলে শক্তি সৃষ্টি হয়, সুস্বাস্থ্য অটুট থাকে।
নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে, যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়মিত যত্ন নেওয়া হয়, ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে। মহান আল্লাহতালা মুসলিমদের সময়মতো নামাজ আদায়ের মাধ্যমে সমাজের
প্রতিটি মানুষকে সুন্দর ও উত্তম গুণের অধিকারী হওয়ার তৌফিক দান করুক। আমরা যখন নামাজে দাড়াই তখন আমাদের চোখ যায় নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে বা সিজদার জায়গায় স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
নামাজের সময় মুখমন্ডল তিনবার ধৌত করার ফলে আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কমে যায়। নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়ত বাঁধার জন্য যখনি কান পর্যন্ত হাত কাঁধ
বরাবর উঠানো হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই রক্ত সঞ্চালনের তীব্রতা বেড়ে যায়। রুকুর সময় হাঁটু কনুই কব্জি এবং কোমরের সবগুলি জোড় প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দেয়। তাশাহুদ এই অবস্থায় কোমর থেকে পা পর্যন্ত
রগগুলো টানটান হয়ে থাকে একদিকে থাকে টাকলু ও পায়ের অন্যান্য জোর এবং অন্যদিকে থাকে কোমর এবং গর্দানের জোড়া গুলি। সালাম ফিরানোর সময় গর্দানের দুইদিকের জোড়াগুলিই কাজ করে
গর্দান ঘুরানোর সময় রক্ত সঞ্চালন তীব্র হয়। নামাজের এই নড়াচড়া গুলো ধারা একটি উত্তম ব্যায়াম হয়ে থাকে। নামাজের মধ্যেও একটি উত্তম সৃষ্টি হয়। উত্তম পন্থায় রক্ত সঞ্চালিত হওয়ার কারণে হৃদযন্ত্র সম্পূর্ণরূপে সুস্থ থাকে।
এতে না তো রক্ত ঘন হয়ে যায়, আর না রক্ত সঞ্চালনে বিঘ্ন ঘটে। সেজদার সময় নিতম্ব হাটু, টাখনু ও কনুইয়ের উপর ঝোঁকানো থাকে যখন নলা ও রানের পেছনের পেশী কোমর ও উদরের পেশী চেপে যায়
তখন কাঁধের জোড়ার পেশীগুলোর এর বাইরের দিক থেকে টান লাগে এর সঙ্গে সঙ্গে মাথার পেছনের অঙ্গগুলো চেপে যায় এর সবগুলোই শরীর বিদ্যার ভাষায় দেহের জন্য খুবই উপকারী বলে প্রমাণিত।
তাছাড়া নারীরা সেজদা করার সময় বুক হাঁটুর সঙ্গে মিলিয়ে রাখে যেটি শরীরবিদ্বানদের ভাষায় গর্ভাশয় এর সর্বোত্তম চিকিৎসা। নামাজী ব্যক্তির চেহারায় অন্যদের তুলনায় বেশি লাবণ্য পরিলক্ষিত হয়।
কারণ সেজদা করার সময় মুখের প্রতিটি শিরা যথেষ্ট পরিমাণে রক্তের প্রবাহ সৃষ্টি হয়। যারা নামাজ আদায় করেন না তাদের চেহারায় এক ধরনের কালচে ভাব দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে।