হিমোগ্লোবিন বাড়ে কোন খাবারে (বাচ্চাদের, গর্ভাবস্থায়)
আমাদের শরীরে বিভিন্ন কারণে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেড়ে যায় অথবা কমে যায়। খাবারের কারণে আবার রোগ জীবাণুর আক্রমণের কারণে আমাদের হিমোগ্লোবিন অথবা রক্তের পরিমাণের তারতম্য দেখা দেয়।
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলেও যেমন ক্ষতি ,বেশি হলেও ক্ষতিকর। তাই হিমোগ্লোবিনের যথাযথ পরিমাণ আমাদের শরীরে বজায় রাখতে হয়। হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে আমরা বিভিন্ন রকম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে
আমরা আমাদের দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারে। আবার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ যদি দেহে বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমানো যায়।
আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব কিভাবে খাবার গ্রহণের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো যায় অথবা কি কি খাবার গ্রহণ করলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে সেই বিষয়ে। তাই এ বিষয়গুলো বিস্তারিত তথ্য জানতে
চাইলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। হিমোগ্লোবিন হচ্ছে রক্ত কোষের লৌহ সমৃদ্ধ এক ধরনের প্রোটিন। শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে যা সাহায্য করে। আমাদের শরীর সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিছু খাবার আছে যেগুলো খেয়ে থাকলে আমরা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে পারি। চিকিৎসকদের মতে, সবার লৌহ বা আয়রনের দরকার। গর্ভাবস্থায় নারীদের চক্র সময়, শিশুদের বেড়ে ওঠার সময়, রোগ থেকে সেরে ওঠার মুহূর্তে লৌহের বেশি দরকার হয়।
এই সময়ে লৌহ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। যার মাধ্যমে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ানো যায়। লোহা জাতীয় বেশকিছু খাবার হচ্ছেঃ বেদানা, আপেল, ডালিম, তরমুজ, খেজুর, জলপাই ইত্যাদি।
ভিটামিন সি এর অভাবে হিমোগ্লোবিন এর পরিমাণ কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়ার লৌহ পুরোপুরি শোষণ হয় না। তাই ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অনেক বেশি। ফলিক এসিড হচ্ছে এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
এটি লাল লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে কাজ করে। সবজি, কলিজা, ভাত, ডিম, বাদাম ইত্যাদি খাদ্যে ফলিক এসিড পাওয়া যায়। বাচ্চাদের হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ক্ষেত্রেও উপরোক্ত খাবার গুলো গ্রহণ করা যেতে পারে।
তবে বাচ্চার বয়স যদি খুব কম হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাদেরকে খাবার গ্রহণ করাতে হবে। বাচ্চার বয়স যদি ছয় মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চাকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো যাবে না।
সেইসাথে বাচ্চাকে নরম খাবার দিতে হবে। এ বিষয়ে সঠিক তথ্য পেতে চাইলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে 13.5 থেকে 17.5 হচ্ছে স্বাভাবিক মাত্রা।
অপরদিকে নারীদের রক্তে 12 থেকে 15.5 হচ্ছে স্বাভাবিক মাত্রা। এর চেয়ে হিমোগ্লোবিন কম থাকা তা স্বাভাবিক নয়। আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্র সীমার মধ্যে থাকলে সেটি স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
এর চেয়ে বেশি অথবা কম হলে সেটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আমাদের অবশ্যই উচিত আমাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক আছে কিনা সেদিকে নজর রাখা।