তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় এবং তাহাজ্জুদ নামাজ কি অন্ধকারে পড়তে হয়
মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজিদে অনেকবার তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার কথা বলেছেন। সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ অন্যতম। তাই আজকে আমরা আলোচনা করব তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় ও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় তা নিয়ে।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়াও আল্লাহ তায়ালা কুরআন মাজিদে আরও কতগুলো সুন্নত ও নফল নামাজের কথা উল্লেখ করেছেন।
এই নামাজগুলোর মধ্যে মুমিন বান্দাদের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত অনেক বেশি। অনেকেই জানেনা যে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয় বা এর ফজিলত কি।
তাই আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাব তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি কি হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। যে মুমিন ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ বা রাতের নামাজ আদায় করে আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।
তাই প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানদের উচিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি যদি রাতের বেলা ঘুমায় তখন শয়তান তার ঘাড়ে তিনটি গিট দেয়।
যেন ওই ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করতে না পারে কোন মুমিন ব্যক্তি যখন রাতে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর যিকির করে ও তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে তখন তার ঘাড়ের বাঁধন খুলে যায়
এবং সে ভোরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফজরের নামাজের জন্য জেগে ওঠতে পারে। তখন সে সঠিক সময়ে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারে।মধ্যরাতে আল্লাহ তায়ালা সপ্তম আসমান থেকে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন
এবং তিনি বলেন যে, কোনো দোয়াকারী আছে কি? আমি তার দোয়া কবুল করব। কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব এবং প্রার্থনাকারীকে প্রার্থিত বস্তু দান করব।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে স্ত্রী তার স্বামীকে রাতে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করতে বলে এবং যে স্বামী তার স্ত্রীকে রাতে নামাজ আদায় করতে বলে আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন।
আপনারা যদি তাহাজ্জুদের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে কতগুলো পোস্ট দেওয়া হয়েছে। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন।
অনেকেই জানেনা যে তাহাজ্জুদ নামাজের সময় কখন শুরু হয় এবং কখন শেষ হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের সময় শুরু হয় রাত বারোটার পর থেকে এবং শেষ হয় ফজর নামাজের আগে।
তবে মধ্যরাতের শেষভাগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মধ্যরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। তাহাজ্জুদের নামাজ দুই রাকাত থেকে শুরু করে 12 রাকাত পর্যন্ত পড়া যায়।
কেউ যদি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে চাই তাহলে সে 12 রাকাত নামাজ আদায় করতে পারবে। যদি সে 12 রাকাত নামাজ আদায় করতে না পারে তাহলে 8 রাকাত আদায় করতে পারবে।
সে যদি 8 রাকাত আদায় করতে না পারে তাহলে 4 রাকাত আদায় করতে পারবে। যদি 4 রাকাত ও সম্ভব না হয় তাহলে 2 রাকাত আদায় করতে পারবে। তবে তাহাজ্জুদে 8 রাকাত নামাজ আদায় করাই উত্তম। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 8 রাকাত নামাজ আদায় করতেন।