তাকওয়া অর্থ কি এবং কত প্রকার (তাকওয়া অর্জনের দোয়া)
আপনারা কি জানতে চান তাকওয়া শব্দের অর্থ কি। তাকওয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। বেঁচে থাকা, ভয় করা নিজেকে রক্ষা করা, ব্যবহারিক অর্থে পরহেজগারিতা, আত্মশুদ্ধি ইত্যাদি বোঝায়। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে যাবতীয় অন্যায় অত্যাচার
এবং তার কাছ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলে। এখন আপনারা মনে করতে পারেন তাকওয়া কিভাবে অর্জন করা যায়। আজকের এই প্রশ্নের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
তাকওয়া শব্দের অর্থ হল অতিমাত্রায় সতর্ক থাকা, কোন কিছু থেকে সম্পূর্ণভাবে বেঁচে থাকা এবং অধিক মাত্রায় বর্জন করে চলা, আর এর পরিভাষায় তাকে বলা হয়। ওই ব্যক্তিকে যে নিজেকে এমন সব কাজ থেকে বিরত রাখে।
যা আখেরাতে তার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাহলে বন্ধুরা চলুন এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই। তাকওয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে পরহেজগারী, তাকওয়ার অভিধানিক অর্থ হচ্ছে ভয় করা, বিরত থাকা, সংক্রান্ত বা সতর্ক থাকা,
বেচে থাকা পরহেজগারী, বর্জন করা, আত্মশুদ্ধি, দায়িত্বশীল হওয়া, যে কোন অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকা। সুতরাং তাকওয়া বলতে শুধু ভয় ভীতিকে বোঝালো এর অর্থ ব্যাপক। একজন মুমিনের মনে আল্লাহর ভীতি সৃষ্টি হয়। তখনই সে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য আকুতি করতে পারে।
অনুরূপভাবে সূরা তাহরীমের 6 নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে ঈমানদাররা, তোমরা নিজেদের এবং পরিবার পরিজনকে দোজগের আগুন থেকে বাঁচাও। তাকওয়া মানে হলো অত্যন্ত সতর্কভাবে জীবন যাপন করা।
কালেমা এবং ইবাদতে অনিষ্ট যুক্ত না হতে পারে। একটি পরিচ্ছন্ন এবং পবিত্র জীবন যাপনের জন্য প্রতিটি কাজে এমন ভাবে সতর্ক থাকতে হয়। যাতে কাজটি আল্লাহ সন্তুষ্টির আলোকে সম্পন্ন হয়।
আমাদের জীবনে তাকওয়া থাকার গুরুত্বপূর্ণ। তাকওয়া অর্থ আজীবন পরিশুদ্ধ জীবন ও সফলতা, জীবন অর্জন ছাড়া আখেরাতে এবং দুনিয়াতে সফলতারআর কোন বিকল্প নেই। পবিত্র কোরআন এবং নবীজির অনেক হাদিস
তাকওয়া নীতি অবিলম্বে এর প্রতি নিদর্শন করা হয়েছে। সূরা আল ইমরানের ১০২ নম্বর আয়াতে বলেন, হে ঈমানদার, আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করো এবং আত্মসমর্পণকারী না হয়ে এমনি কোন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করো না,
সুরা হাশরের 18 নম্বর আয়াতে বলেন, হে মুমিনরা, আল্লাহকে ভয় করো, সুরা তালাক দুই ও তিন নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, বের করে দিবেন তাদের জন্য এমন পদ্ধতিতে জীবন উপকরণের ব্যবস্থা করে দেন। আমরা যারা কখনো কল্পনা করেনি।
শান্তিময় সমাজ গঠনে তাকওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহতালা সন্নিদ লাভ এবং আখেরাতে জীবনে তার ঘনিষ্ঠতা পাওয়ার অন্যতম উপায় হল তাকওয়া। এর মাধ্যমে সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা যায়।
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়লে তাকওয়া কি এবং তাকওয়া কিভাবে একটি সমাজকে সুসংখ্যা বাধ্য ভাবে এবং ভালোভাবে চলতে সাহায্য করে।
তা জানতে পারবেন। ব্যবহারিক অর্থে তাকওয়া বলতে খোদাভীতি, আত্মশুদ্ধি, পরহেজগারি ইত্যাদিকে বোঝায়। যাবতীয় পাপকাজ বা কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে রক্ষা করাই হলো তাকওয়া।আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা কাঙ্খিত প্রশ্নের জবাব পেয়েছেন।