যাকাত কখন দিতে হয় এবং যাকাত কোথায় ফরজ হয় [দেখুন ক্লিক করে]
যাকাত কি, যাকাত কখন দিতে হয় বা কিভাবে দিতে হয় এ বিষয়টা অনেকেই জানেনা। আর এই বিষয় জানার জন্য অনেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তা অনুসন্ধান করে থাকে। তাই আমরা আমাদের এই পোস্টে যাকাত কি, যাকাত কখন দিতে হয়,
কিভাবে দিতে হয় এ বিষয়ে খুব সহজভাবে আলোচনা করেছি। আপনারা যারা যাকাত সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়তে পারেন। আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা যাকাত বিষয়ের বিভিন্ন তথ্য খুব সহজে জানতে পারবেন।
ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি। আল্লাহ তাআলার এই নির্ধারিত পাঁচটি ভিত্তি মধ্যে যাকাত একটি। ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তিগুলো হচ্ছে কালিমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত। যাকাত হচ্ছে ইসলামের সর্বশেষ ভিত্তি।
যাকাত হচ্ছে আল্লাহ তাআলার একটি ফরজ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা যাকাত আদায় করার মত সামর্থ্যবান ব্যক্তিদেরকে খুবই গুরুত্বের সাথে যাকাত আদায় করতে বলেছেন। আল্লাহর একজন প্রকৃত মুমিন বান্দা খুবই গুরুত্বের সাথে যাকাত আদায় করে থাকে।
যাকাত আদায় করা হচ্ছে ফরজ কাজ। যাকাত আদায় করার কতগুলো নিয়ম-কানুন রয়েছে। আর এই নিয়মগুলো আল্লাহ তাআলা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কেউ যদি আল্লাহর নির্ধারিত নিয়মে যাকাত আদায় না করে
তাহলে কখনোই তার যাকাত আদায় করা হবে না। আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে যাকাত আদায় করতে বলেছেন। যাকাত দিলে কখনো কারো সম্পদের পরিমাণ কমেনা বরং বৃদ্ধি পায়।
কিন্তু অনেকে মনে করেন যে যাকাত দিলে হয়তো তার সম্পদ কমে যাবে। যে ব্যক্তি সঠিক নিয়মে যাকাত আদায় না করে না করে আল্লাহ তার ধন সম্পদ কমিয়ে দেন। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত সঠিক নিয়মে যাকাত আদায় করা।
যাকাত এর অর্থ হচ্ছে পবিত্র হওয়া বা বৃদ্ধি পাওয়া। যাকাত দিলে সম্পদ হালাল হয় ও পবিত্র হয়। যাকাত দিতে হয় নিসাব অনুসারে। ইসলামী শরীয়তের ভাষায়, যাকাত হচ্ছে এক বছর যাবত নিজস্ব সম্পদ হিসেবে
সাড়ে 52 তোলা পরিমাণ রুপার সাড়ে 7 তোলা পরিমাণ সোনা বা এর সমমূল্য পরিমাণ অর্থ থাকলে ওই সম্পদের 2.5% আল্লাহর পথে দান করা। যাকাত দিতে হয় ফকির, মিসকিন, নওমুসলিম, যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী,
ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, মুসাফির ও আল্লাহর পথে জিহাদরত ব্যক্তিকে। যাকাত সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে আরো কথাগুলো পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। আপনারা চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে পারেন।
পোস্টগুলো পড়ার মাধ্যমে আপনারা যাকাত সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে অনেকবার যাকাত আদায় করার কথা বলেছেন।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন তোমরা নামায কায়েম করো এবং যাকাত আদায় করো। যাকাত আদায় করতে হলে কতগুলো নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। আল্লাহ তাআলা স্বর্ণের ওপরে ও যাকাত দিতে বলেছেন।
তবে তা নির্ধারিত পরিমাণের উপরে থাকলে। আর এই নির্ধারিত স্বর্ণের পরিমান কতটুকু তা অনেকে জানেনা। তাই আজকে আপনাদের জানাবো কত গ্রাম স্বর্ণ থাকলে যাকাত দিতে হয়। এ বিষয়ে আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
কোন ব্যক্তির কাছে যদি 20 দিনারের উপরে স্বর্ণ থাকে তাহলে সে যেন যাকাত আদায় করে। 20 দিনার এ স্বর্ণ থাকে 85 গ্রাম। অর্থাৎ কেউ যদি স্বর্ণের যাকাত দিতে চায় তাহলে তার স্বর্ণের পরিমাণ থাকতে হবে 85 গ্রাম বা সাড়ে 7ভরি।