দৌড়ানোর উপকারিতা [রাতে, সকালে, বিকালে] হাঁটার উপকারিতা (এখানে দেখুন)

দৌড়ানোর উপকারিতা [রাতে, সকালে, বিকালে] হাঁটার উপকারিতা (এখানে দেখুন)

দৌড়ানোর মতো একটি খুব সাধারণ ক্রিয়াকলাপে অনেকগুলি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন 5 থেকে 10 মিনিট দৌড়ানোর অভ্যাস মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। এই সাধারন অনুশীলনটি অতি দ্রুত শারীরিক ও মানসিক

সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে পারে। আজকে আমরা দৌড়ানোর উপকারিতা, দৌড়ানোর নিয়ম ও বিকেলে দৌড়ানোর উপকারিতা বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। নিজেকে সুস্থ রাখতে দৌড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম।

মহিলাদের ক্ষেত্রে দৌড়ানো কথা আসলে এটি মহিলাদের স্তন ক্যানসার ঝুঁকি হ্রাস করতে সাহায্য করে। দৌড়ানোর ফলে স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে।  যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অস্টিওপেরোসিসের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছেন

তাদের জন্য একটি উপযোগী ব্যায়াম, এর ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। নিয়মিত দৌড়ানো অভ্যাস ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও হার্টঅ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

মানসিক চাপ থাকলে দৌড়ানো শুরু করা উচিত কয়েকমিনিট দৌড়ানোর ফলে ব্রেইনের সিক্রেট হরমোন নির্গমনের ফলে মানসিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। নিয়মিত দৌড়ানোর ফলে হাড় মজবুত হয়

এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। প্রতিদিন দৌড়ানোর ফলে শরীরে ইনসুলিন ধরে রাখার ক্ষমতা এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ে।

ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখতে হলে নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে কারণ স্বাস্থ্যের সাথে ত্বকেরও ভালো উপকার করে থাকে দৌড়। দৌড়ানোর ক্ষুধা এবং ঘুমের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

নিয়মিত দৌড়ানোর  অভ্যাস থাকলে ক্ষুধা ও ঘুমের কোন সমস্যা হয়না। পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য  একটি সর্বোৎকৃষ্ট ঔষধ হচ্ছে দৌড়ানো। নিউরো ফর্মাকোলজির 2015 সালের একটি সমীক্ষায় জানা যায় যে দৌড়ানোর ফলে

কিছু আসক্তি যুক্ত ওষুধের মতো মস্তিষ্কে একই ধরনের নিউরো রাসায়নিক অভিযোজন ঘটে মস্তিষ্কের ডোপামিন, সেরোটোনিনের মত অনুভূতি তৈরিতে রাসায়নিক নিঃসরণ বাড়ে ফলে মন মেজাজ ভালো থাকে এবং রাতে ভালো ঘুম হয়।

শরীর সুস্থ সবল রাখতে দৌড়দারুন এক উপকারী ব্যায়াম কিন্তু শুধু দৌড়ালে হবে না এর জন্য কিছু নিয়ম কানুন ও মানা জরুরি । সেসকল নিয়মগুলো হল -দুই হাতকে শরীরের কাছে  রাখতে হবে

এবং সামনে পিছনে চলমান রেখে দৌড়াতে হবে। কনুইয়ের ভাঁজ এমন ভাবে রাখতে হবে যেন সেখানে 90 ডিগ্রি কোণ উৎপন্ন হয়। হাতকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে দৌড়ানোর সময় গোড়ালি কখনো শক্ত রাখা যাবে না।

দৌড়ানোর সময় কখনও নিচের দিকে বা নিজের পায়ের দিকে তাকানো ঠিক না।  বরং সামনের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত এতে করে দৌড়ানোর সময় মাথা ঘাড় ও স্পাইনের সঠিক অবস্থান নিশ্চিত হয়।

দৌড়ের শুরুতে দ্রুতগতিতে দৌড়ানো উচিত নয় বরং শুরুতে ধীরে ধীরে দৌড়াতে হয় এর ফলে স্ট্যামিনা বাড়ে। দৌড়ের গতি এমন হওয়া উচিত যেন দৌড়ানোর সময় সাধারণ কথাবার্তা চালিয়ে যেতে পারেন

সপ্তাহে তিনদিন দৌড়ানো টা যখন অভ্যস্ত হয়ে উঠবে তখন দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর পরিকল্পনা নিতে হবে। বিকেলে দৌড়ানোর ফলে রাতে গভীর ঘুম হয় যার ফলে পরেরদিন সকালে ফ্রেশ লাগে

এবং কাজে এনার্জি বাড়ে। ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম খুবই কার্যকরী তাই ওজন কমানোর জন্য বিকেলে দৌড়ানোর উপকারিতা অনেক। নিয়মিত 30 মিনিট বা 1 ঘন্টা দৌড়ালে ওজন হ্রাস হয়।

দিনে মাত্র আধা ঘন্টা দৌড়ালেই শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে যা ফুসফুস ও হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত দৌড়ালে এবং শরীরচর্চা করলে ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

ক্যান্সারসহ বিভিন্ন কঠিন রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে নিয়মিত দৌড়ানোর অভ্যাস। গবেষণায় দেখা গেছে 16 সপ্তাহ দৌড়ানোর কারণে ইনসোমিয়া তে আক্রান্ত মানুষের রাতে ভাল ঘুম হয়েছে এবং সারা দিন শরীরের ক্লান্তি বোধ হয় নি।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।