কত গ্রাম স্বর্ণ, টাকা থাকলে যাকাত দিতে হয় [জানতে এখানে ক্লিক করুন]
ইসলামের পাঁচটি ফরজ ইবাদতের মধ্যে যাকাত একটি। যাকাত অর্থ পবিত্রতা। যাকাত আদায় করলে সম্পদের পবিত্রতা অর্জিত হয়। বরকত আসে। যাকাত আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করা যায়। যাকাত আদায় না করলে শাস্তি পেতে হয়।
মুসলমানগন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য যাকাত আদায় করে থাকে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা স্বর্ণের যাকাত দেওয়ার নিয়ম, যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত, যাকাত হিসাব করার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জানেনা।
আজকের পোষ্টে এসকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং প্রত্যেকের উচিত পোস্টটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়া। আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেননা স্বর্ণ থাকলে কিভাবে যাকাত দিতে হয়
আজকের পোষ্টে এ বিষয় নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তুলে ধরা হয়েছে কোন ব্যক্তির কাছে যদি 20 দিনার বা তার বেশি পরিমান স্বর্ণ থাকে এবং তা যদি এক বছর তার কাছে মালিকানাধীন থাকে তবে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই যাকাত আদায় করতে হবে।
রমজানের মধ্যেই যাকাত আদায় করতে হয়। সাধারণত 1 দিনার স্বর্ণ 4.25 গ্রাম হয়। সেই হিসেবে 20 দিনার স্বর্ণের পরিমাণ হবে (20×4.25) বা 85 গ্রাম। ৮৫ গ্রাম স্বর্ণে (৮৫÷১১.৬৬) = ৭.২৯ ভরি স্বর্ণ থাকে।
কোন ব্যক্তির নিকট যদি ক গ্রাম স্বর্ণ থাকে তবে ক গ্রাম স্বর্ণকে 1 গ্রাম স্বর্ণের মূল্য দ্বারা গুণ করতে হবে। এরপর মোট মূল্য থেকে 2.5 শতাংশ যাকাত দিতে হবে। এভাবে হিসাব করে স্বর্ণের উপর যাকাত আদায় করতে হবে।
তবে অবশ্যই রমজান শেষ হবার আগেই যাকাত আদায় করতে হয়। ইসলামের পাঁচটি ফরজ এর মধ্যে যাকাত অন্যতম। যাকাত ফরজ ওয়ার অনেকগুলো শর্ত রয়েছে। আপনাদের মধ্যে অনেকেই সে শর্তগুলো জানেন না।
শর্ত গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করা হয়েছে। যাকাত ফরজ হওয়ার জন্য অবশ্যই স্বাধীন ব্যক্তি হতে হবে। কোন দাসের জন্য যাকাত ফরয নয়। এছাড়াও যাকাত ফরজ হতে হলে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে।
সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই সম্পদের উপর পূর্ণ মালিকানা থাকতে হবে।সম্পদ কোন ব্যক্তির কাছে এক বছর মালিকানাধীন থাকতে হবে। সম্পদ অবশ্যই হালাল হতে হবে। কোন হারাম বস্তুর উপর যাকাত ফরয নয়।
যাকাত সেই ব্যক্তির উপর ফরজ হবে যে ব্যক্তি গরিব-দুঃখীদের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতা করার মন-মানসিকতা থাকবে। আশাকরি আমাদের আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনারা যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
কোনো মুসলমান এর যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তবে তার উপর যাকাত ফরজ হয়। প্রতিবছর রমজান মাস শেষ হবার আগেই যাকাত আদায় করতে হয়। নিসাব পরিমাণ সম্পদ এর চল্লিশ ভাগের এক ভাগ যাকাতের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখতে হয়।
অর্থাৎ কোন ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ যদি একশ টাকা হয় তবে তার উপর যাকাত হয় 2 টাকা 50 পয়সা। আবার কোন ব্যক্তির সম্পত্তির পরিমাণ 2000 টাকা হয় তবে তাকে যাকাত দিতে হয় 50 টাকা।
এভাবে টাকার মোট পরিমাণ হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হয়। যাকাত আদায়ের মাধ্যমে সম্পদের পবিত্রতা বৃদ্ধি পায়। আমাদের প্রত্যেকের উচিত যাকাত যথা সময়ে আদায় করা।