আদার উপকারিতা ও অপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম [দেখুন] সকালে আদা খেলে কি হয়
আদাতে রয়েছে নানা রকমের ঔষধি গুন ও খনিজ পদার্থের সমাহার। আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত আদাকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। আধা শরীরের জন্য খুব উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান।
এটি দেহের বিভিন্ন ক্ষত সারাতে কাজ করে। আজকের পোস্টে আমরা আদার উপকারিতা, অপকারিতা, আদা খাওয়ার নিয়ম ও এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করব। আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে
যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে আমাদের বাঁচায়। আদা খাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি ,গলা ব্যথা থেকে সহজে আরাম পাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ প্রতি 100 গ্রাম আদা তে রয়েছে 79 ক্যালোরি,17.86 কার্বোহাইড্রেট ,3.6 গ্রাম ভোজ্য আঁশ, 3.57 গ্রাম প্রোটিন, 33 মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, 1.15 গ্রাম লৌহ, 14 মিলিগ্রাম সোডিয়াম, 7.7 মিলিগ্রাম ভিটামিন সি,
এছাড়াও আছে ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা, ফসফরাস এবং ফোলেট। আদার রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে গলা ব্যাথা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। আদা পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান
সহ লালারসের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। প্রদাহ কমাতে বিশেষ কার্যকর এই আদা, বাতের সমস্যা যারা ভুগছেন তাদের জন্য বেশ উপকারী আদা। গর্ভাবস্থায় শরীরে শরীরের ফুলে যাওয়া নিরাময়ে সহায়তা করে আদা।
আদা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আদার উপকারিতা এর পাশাপাশি কিছু অপকারিতা রয়েছে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা এটি বেশি খেলে শরীরের চুলকানি ও শরীর ও মুখ ফুলে যেতে পারে।
এটি পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ বেশি কমে যেতে পারে। পাশাপাশি যদি ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ এর ওষুধ খেয়ে থাকেন তবে আদা না খাওয়াই ভালো। আদা শরীরে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে
তাই গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া উচিত নয় গর্ভাবস্থায় আদা বেশি খেলে প্রিম্যাচিওর বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আদার রস দাঁতের মাড়িকে শক্ত করে, দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা লুকানো জীবাণুকে ধ্বংস করে।
দেহের কোথাও ক্ষত থাকলে তা দ্রুত সারাতে সাহায্য করে আদা। আদার রসে অনেক গুণ রয়েছে। আদা একটি উদ্ভিদের মূল যা মানুষ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। আদা খাদ্য-শিল্পে পানীয় তৈরিত, আচার ঔষুধ ও সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
এটি ভেষজ ঔষধ সর্দি, কাশ, আমাশয়, জন্ডিস এ আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে আরাম পাওয়া যায। আদার রস খেলে খাবারের রুচি আসে এবং ক্ষুধা বাড়ে। আদার রসে পেটে ব্যথা কমে যায।
আদা পাকস্থলী ও লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। আদা রক্তশূন্যতা দূর করে আদার রস হূদরোগ ও শরীরের ভেতরে বায়ু ও আমাশয় সারিয়ে তোল। কাঁচা আদার রস মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিস সহ কিডনির জটিলতা দূর কর।
সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে খাবারের রুচি আসে। প্রতিদিন দুই বেলা 1 চা চামচ করে আদার রস, লেবুর রস ও মধু এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে চা এর মত করে
খেলে কাশি কমে যায়, কফ দূর হয়। যারা কাঁচা আদার রস খেতে পারেন না তারা অন্যভাবেও খেতে পারে, যেমন- গরম চায়ে আদার রস, মাছের সঙ্গে, মিষ্টি খাবারের সঙ্গে আদা।