জেএসসি সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়ম (অনলাইন পদ্ধতি)
আপনার অনেকেই অনেক সময় জানতে চান কিভাবে সার্টিফিকেট সংশোধন করতে হয়। সার্টিফিকেট একজন ছাত্র ছাত্র জীবনের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। যদি কোনো কারণে সার্টিফিকেটে কোন তথ্য ভুল থাকে।
সেটা সংশোধন করার প্রয়োজন হতে পারে। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের দেখাবো। কিভাবে আপনার জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট এর ভুল গুলো সংশোধন করবেন।
বর্তমান সময়ে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করে জেএসসি সার্টিফিকেট এর ভুল সংশোধন করা যায়। কিভাবে আপনার এ কাজটি সম্পন্ন করবেন। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের কাছে হাতে-কলমে শিখাবো।
আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং দেখুন। জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট সহ সকল পরীক্ষার সার্টিফিকেট সংশোধন করার নিয়মাবলী পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের শেখাবো।
সার্টিফিকেটের যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধন করতে হলে আপনার নিকটস্থ কোনো উকিল এর মাধ্যমে এফিডেভিট করতে হবে। তারপর যে সার্টিফিকেট এর তথ্য সংশোধন করতে চান। সার্টিফিকেটের নাম, রেজিস্ট্রেশন নাম্বার,
রোল নাম্বার, পিতা মাতার নাম, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ইত্যাদি উল্লেখ করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার পর সেই পত্রিকার পেপার কাটিং এবং জাতীয় পরিচয় পত্র
নিকটস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক বরাবর যোগাযোগ করতে হবে। এছাড়া নামে ভুল আসলে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ঘরে বসে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
তবে সংশোধিত সার্টিফিকেট পেতে চাইলে সর্বোচ্চ 30 দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। সার্টিফিকেটে বাবা অথবা মায়ের নাম ভুল আসলে অথবা নিজের নাম কোন কারনে ভুল আসলে সেটা সংশোধন করতে পারবেন ঘরে বসেই।
কিভাবে আপনারা সার্টিফিকেটে বাবার নাম সংশোধন করবেন। সে বিষয়ে বলব। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে বিস্তারিত তথ্য করব। বাবার নামে ভুল আসলে বাবা-মা’র জাতীয়
পরিচয় পত্র দিয়ে নিকটস্থ কোনো উকিল এর নিকট হতে এফিডেভিট করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ 500 টাকা দিতে হতে পারে। এছাড়া ট্রেজারি চালান সহ আবেদন খরচ সহ প্রায় 3 হাজার টাকা থেকে 3500 টাকার মতো খরচ হয়।
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি। আরও যদি কোনো তথ্য পেতে চান আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে জেনে নিতে পারেন।
কোন কারণে সার্টিফিকেটের যদি কোনো ধরনের ভুল থাকে সেটা সংশোধন করার প্রয়োজন হতে পারে। এ কারণে সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার পরবর্তী সার্টিফিকেট এর জন্ম সাল নির্ধারণ করা হতে পারে।
তাই আজকে আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে সার্টিফিকেট বয়স সংশোধন করার নিয়মাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। সার্টিফিকেটে বয়স সংশোধন করতে
চাইলে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হতে পারে। অথবা আপনার বয়স যদি 18 বছরের কম হয়। তাহলে আপনাকে অবশ্যই জন্ম সনদের মাধ্যমে সার্টিফিকেট
বয়স সংশোধন করতে হবে। এজন্য আপনার সামনে বয়স সংশোধন করা হল কোন উকিলের নিকট হতে বয়স এবিডেবিড করে নিতে হবে। তারপর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বরাবর আবেদন করতে হবে। আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সামনে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি।