কেমোথেরাপি দিতে কত টাকা লাগে (কেমোথেরাপি দেয়ার নিয়ম)
কেমোথেরাপি হচ্ছে ক্যান্সার বিরোধী ড্রাগ বা ওষুধের ব্যবহার। যার মাধ্যমে ক্যান্সারের অতিরিক্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেয়। এছাড়াও ক্যান্সার বৃদ্ধি রোধ করতে কেমোথেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আর আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব কেমোথেরাপি দিতে কত টাকা লাগে এ বিষয়টি নিয়ে। এছাড়াও আলোচনা করব কেমোথেরাপি কতদিন পর পর দিতে হয় এবং কেমোথেরাপির সাইড ইফেক্ট
বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কি কি এই সকল বিষয় নিয়ে। আপনারা যারা এই সকল বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়তে পারেন। কেমোথেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে সাধারণত রোগের ক্যান্সারের স্তর এর উপর ভিত্তি করে।
ক্যান্সারের প্রকারভেদ অনুযায়ী কেমোথেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে। রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং ক্যান্সারের কোষগুলির স্থান দেখে ও কেমোথেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে। কেমোথেরাপি ক্যান্সারের লক্ষণগুলোকে হ্রাস করে।
এছাড়াও ক্যান্সারের অন্তিম পর্যায়ের যন্ত্রণা কম করতে সহায়তা করে। ক্যান্সার হচ্ছে একটি মরণব্যাধি রোগ। এই ক্যান্সার এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা হচ্ছে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি এবং অস্ত্রপাচার।
আমাদের দেশের প্রায় 50 ভাগ ক্যান্সার রোগীকে এই তিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। অনেকে আছেন যারা কেমোথেরাপি দিতে কত টাকা খরচ হয় এই বিষয়ে জানতে চান। তাই এ বিষয়ে আমরা আপনাদেরকে জানাবো।
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে জানা যায় যে, আমাদের দেশে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে যদি আপনারা একবার কেমোথেরাপি দেন তাহলে আপনাদের খরচ হবে 20000 টাকা।
কেমোথেরাপি ছাড়া যদি আপনারা রেডিওথেরাপি দেন তাহলে 25000 টাকা এবং অস্ত্র পাচারের জন্য 60000 টাকা খরচ হতে পারে। তবে আপনারা যদি দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো ছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে
কেমোথেরাপি দেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাদের খরচ অনেক বেশি পড়বে। কেমেথেরাপি খুবই ব্যয়বহুল একটি চিকিৎসা। কেমোথেরাপি কতদিন পর পর দিতে হয় এই বিষয়টি সাধারণত নির্ভর করে ক্যান্সার রোগীদের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে।
যেমন, কিছু ক্যান্সার রোগী আছে যাদের রোগের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে 15 দিন পর পর কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। আবার কিছু রোগীদেরকে 1 মাস পরপর কেমোথেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে।
আবার অনেক রোগী আছেন যাদেরকে প্রায় প্রতিদিনই কেমোথেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে। কেমোথেরাপি যেমন ক্যান্সারের অতিরিক্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করতে খুবই সহায়তা করে তেমনি এর অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা ও রয়েছে।
আর এই সকল সাইড ইফেক্ট বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হচ্ছে- চুল পড়ে যায়, বমি বমি ভাব হয়, রক্তের প্ল্যাটলেট কমে যায়, অ্যানিমিয়া বা রক্তের স্বল্পতা দেখা দেয়, অন্ত্রের সমস্যা হয়, অনেক ক্ষেত্রে কানে কম শুনতে পায়, ত্বক ও নখের রং পরিবর্তন হয়,
ওজন কমে যায়, গর্ভধারণের সমস্যা হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হয়, ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হয়, কিডনির সমস্যা হয়, ফুসফুসের ক্ষতি হয়। এছাড়াও আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে রেডিও থেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অন্য আরেকটি পোস্ট প্রকাশ করেছি। আপনারা যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টগুলো দেখতে পারেন।