জীববিজ্ঞানের জনক কে (আধুনিক জীব বিজ্ঞানের জনক কে)
মানুষের উন্নতির পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে বিজ্ঞানের। বর্তমান সময়ে আমরা এত উন্নত জীবন যাপন করছি তার প্রধান অবদান হচ্ছে বিজ্ঞান। কারণ বিজ্ঞান যদি এত উন্নত না হত অথবা আবিষ্কার যদি এত উন্নত না হত তাহলে
আমরা এত উন্নত জীবন যাপন করতে পারতাম না।উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মোবাইল আবিষ্কারের মাধ্যমে অথবা ইন্টারনেট আবিষ্কারের মাধ্যমে আমরা এখন খুব সহজে ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীকে হাতের মোটেই পেয়ে যাচ্ছি।
আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার না করতেন তাহলে আজকে এই পোস্টটি পড়তে পারতেন না। ইন্টারনেট এবং মোবাইল বিজ্ঞানের একটি আবিষ্কার। বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করেছেন এই আবিষ্কার সহ মানুষের জীবন উন্নত করার ক্ষেত্রে আরো অনেক আবিষ্কার রয়েছে।
মানুষের জীবন মান উন্নত করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ভূমিকা রয়েছে। তেমনি মানুষের জৈবিক শারীরিক বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পর্কে ধারণা পেতে জীব বিজ্ঞানের গুরুত্ব অপরিসীম। আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব জীব বিজ্ঞানের জনক কে।
আপনি যদি বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা পেতে চান তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। জীব বিজ্ঞানের জনক বলা হয় এরিস্টটলকে। জীব বিজ্ঞানের উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রে এরিস্টটলের ভূমিকা অপরিসীম।
তাছাড়া জীব বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রে এরিস্টটল সরাসরি তার চিন্তাভাবনা এবং আবিষ্কারের মাধ্যমে জীব বীজ্ঞানকে এতটা উন্নত করে তুলেছে যার কারণে তাকে জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
এছাড়া আর একটি বিষয় হচ্ছে জীববিজ্ঞান যখন মানুষ ধারণা করতে পারেনি অথবা, জীব নিয়ে গঠিত বিজ্ঞান যখন এতটা উন্নত হবে বিষয়গুলো যখন মানুষ ধারণাই করতে পারেনি তখন এরিস্টটল তার চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে
এবং দূরদর্শিতার মাধ্যমে জীবিকা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। যা জীববিজ্ঞানের ভিত্তি বা মৌলিক ভিত্তি হিসেবে এখনো টিকে রয়েছে। যার কারণে এরিস্টটলকে জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
জীববিজ্ঞানের জনক হচ্ছে এরিস্টটল। তিনি জীববিজ্ঞানে উন্নতির পিছনে বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন। বিভিন্ন বিজ্ঞানের উন্নতি সাধনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের অবদান রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক
হচ্ছে নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি, অর্থনীতির জনক হচ্ছে এডাম স্মিথ, আধুনিক অর্থনীতির জনক হচ্ছে পলস সিমুয়েলসন, প্রাণিবিজ্ঞানের জনক হচ্ছে এরিস্টটল, রসায়ন বিজ্ঞানের জনক হচ্ছে জাবির ইবনে হাইয়ান।
এরকম বিভিন্ন বিজ্ঞানের অথবা বিভিন্ন সাস্ত্রের বিভিন্ন ব্যক্তিকে জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সেই বিজ্ঞান অথবা সেই রাষ্ট্রগুলোর ভিত্তি বা মৌলিক ভিত্তিতে উক্ত ব্যক্তিদের বিশাল বা বড় অবদান থাকা। জীব বিজ্ঞানের জনক হচ্ছে এরিস্টোটল।
তবে আধুনিক জীব বিজ্ঞানের জনক কে এই বিষয়ে বলতে গেলে বলতে হবে জীববিজ্ঞানকে এখনো আধুনিক জীব বিজ্ঞান হিসেবে ভাগ করা হয়নি। তাই আধুনিক জীব বিজ্ঞানের জনক বললে এরিস্টটলকে বুঝানো হবে। তবে আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হচ্ছে রজার বেকন।
বিজ্ঞানের বিভিন্ন ধারার জনকদের সম্পর্কে ধারণা পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অনন্য পোস্ট গুলো দেখতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিজ্ঞানের জনকদের সম্পর্কে বিস্তারিত কয়েকটি পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে।