কাজী অফিসে বিয়ের নিয়ম কানুন (ক্লিক করে দেখুন)

বিয়ে আমাদের সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে পবিত্র একটি বিষয়। আমরা বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমেই স্বামী স্ত্রী একে অপরের সাথে একত্রে সংসার করতে পারি। আমাদের ইসলাম ধর্ম মতে প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করা হচ্ছে ফরজ।

প্রাপ্ত বয়স হলে এবং বিয়ে করার শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলে ঐ ব্যক্তির উপর বিয়ে করা ফরজ হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রেও মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্ক হলে পিতা মাতার উপর মেয়েকে বিয়ে দেওয়া ফরজ হয়ে পড়ে। আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব

কাজী অফিসে বিয়ের নিয়ম নিয়ে। তাছাড়া বিয়ে করার ক্ষেত্রে সাক্ষী এবং কি কি কাগজ পত্রের দরকার পড়ে সেই বিষয়েও এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

কাজী অফিসে বিয়ে করা বা বাড়িতে বসে কাজীকে বাড়িতে নিয়ে এসে বিয়ে করার ক্ষেত্রেও নিয়ম কানুন একই রকম। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রে টাকা পয়সা এবং কাগজ পত্রের প্রয়োজন একই রকম। আপনি যদি বিয়ে করতে চান তাহলে

আপনার বিয়ের জন্য আপনার এবং আপনার স্ত্রীর জন্য ২ জন করে মোট ৪ জন সাক্ষী লাগবে। অর্থাৎ আপনার ২ জন সাক্ষী এবং আপনার হবু স্ত্রীর ২ জন সাক্ষী লাগবে। এক্ষেত্রে কনের সাক্ষী হিসেবে কনের পিতা বা অভিভাবক অতীব জরুরী।

এতো গেলো সাক্ষীর বিষয়টি। এখন আপনাদের জানাচ্ছি কি কি কাগজপত্র লাগবে বিয়েতে সেই বিষয়ে। বিয়েতে বর এবং কনের জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে। আপনাদের যদি জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকে তাহলে

আপনাদের জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি প্রয়োজন পড়বে। বর এবং কনের বয়স যাচাই করার জন্য উক্ত কাগজগুলো খুবই প্রয়োজনীয়। তাছাড়া বিয়ের বিষয়গুলো সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে লিপিবদ্ধ করার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।

তাই জাতীয় পরিচয় পত্র এর নাম্বার অথবা জন্ম নিবন্ধন নাম্বার প্রয়োজন। বিবাহের নিয়ম কানুন বলতে বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। বিয়েতে রেজিস্ট্রার ফরমে বর কনের সকল তথ্য পূর্ণ করে প্রথমে কনের কাছে সাক্ষীসহ

কাজী অফিসে বিয়ের নিয়ম

এবং প্রচলিত ধারার উকিল বাবা যেয়ে কনেকে প্রথমে কবুল বলতে হয়। পরবর্তীতে বর এর কাছে এসে বরকে কবুল বলতে হয়। এভাবেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এই বিষয়ে আরো জানতে

চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো দেখুন। বিয়ে করতে গেলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফি হিসেবে দিতে হয়। এই ফি নির্ভর করে মূলত দেনমোহর এর উপর।

বিয়েতে 1 লাখ টাকা থেকে 5 লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহর হলে ফি হিসেবে প্রতি হাজারে 14 টাকা করে দিতে হয়। অর্থাৎ 1 লাখ টাকা দেনমোহর হলে ফি হিসেবে 1400 টাকা দিতে হবে। আবার কাবিন যদি 2 লাখ টাকা হয়,

তাহলে ফি হিসেবে 2800 টাকা দিতে হবে। বিয়ের বিষয়ে আরো আপডেট তথ্য পেতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোাস্টগুলো দেখুন। সেখানে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।