মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত ও কিভাবে পড়তে হয়
প্রত্যেক মুসলমানের ফরয ইবাদত হল নামাজ। নামাজের মাধ্যমে মন পরিশুদ্ধতা লাভ করে। যে কোন পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা যায়।
আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় ইবাদত হচ্ছে নামাজ।নামাজ হল বেহেস্তের চাবি।
আজকের এই পোস্টের মাগরিবের নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
Table of Contents
মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
মাগরিবের নামাজ তিন রাকাত ফরজ, দুই রাকাত সুন্নত। অর্থাৎ মাগরিবের নামাজ মোট পাঁচ রাকাত। আজকের এই পোস্টের মাগরিবের নামাজ আদায়ের নিয়ম গুলো আলোচনা করা হয়েছে।
মাগরিবের নামাজের ওয়াক্ত শুরু ও শেষ
যখন সূর্য অস্ত যায় তখনই মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায় এবং আকাশে লানিমা থাকা পর্যন্ত মাগরিবের ওয়াক্ত থাকে।মাগরিবের ওয়াক্ত খুবই কম সময় পর্যন্ত থাকে।
মাগরিবের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
৩ রাকাত ফরজঃ জায়নামাজের দোয়া পাঠ করতে হবে। এরপর ৩ রাকাত ফরজের নিয়ত বাধতে হবে। নিয়ত বাধা শেষ হলে সানা পড়তে হবে।অতঃপর সুরা ফাতেহা সাথে অন্য যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। এরপর সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে।এরপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলেই সিজদায় লুটিয়ে পড়তে হবে।
দেখুনঃ ফজরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা যে কোন বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে। এভাবে দুইবার সিজদা দিতে হবে।দুই সিজদার মাঝখানে আল্লাহু আকবার বলতে হবে।এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতের নিয়ত করতে হবে না। সূরা ফাতিহার পরে অন্য যেকোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।প্রক্রিয়া গুলো এভাবে চলতে থাকবে।ব্যতিক্রম শুধু সিজদার পর তাশাহুদ পাঠ করতে হবে।
দেখুনঃ যোহরের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
এভাবে দ্বিতীয় রাকাত শেষ করতে হবে।তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা মিলাতে হবে না এবং সিজদার পর তাশাহুদ, দুরুদে ইব্রাহীম ও দোয়া মাসুরা পড়তে হবে। এগুলো পড়া শেষ হলে প্রথমে ডান পাশে এবং পরে বাম পাশে সালাম ফেরাতে হবে।সবশেষে মোনাজাত ধরতে হবে।এভাবেই মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ আদায় করা হয়।
দুই রাকাত সুন্নতঃ প্রথমে দু রাকাত সুন্নতের নিয়ত করতে হবে। নিয়ত শেষ হলে ছানা পাঠ করে সূরা ফাতিহার পর অন্য যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।সূরা পড়া শেষ হলে সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে।অতঃপর সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সিজদা দিতে হবে।
দেখুনঃ আসর নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
সিজদায় গিয়ে সুবহানা রাব্বিয়াল আলা যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে। অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে আবার সিজদা দিতে হবে। এভাবে প্রথম রাকাত শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে কোন নিয়ত করতে হবে না। সূরা ফাতেহার পর অন্য যেকোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে।এরপর সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে।সামিয়া লিমান হামিদা রব্বানা লাকাল হামদ বলে সিজদা দিতে হবে।
দেখুনঃ মাগরিবের নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
সেজদায় সুবহানা রাব্বিয়াল আলা যেকোনো বিজোড় সংখ্যক বার বলতে হবে।আবার আল্লাহু আকবার বলে সিজদা দিতে হবে।সিজদা দেয়া শেষ হলে তাশাহুদ,দুরুদে ইব্রাহীম এবং দোয়া মাসুরা পড়তে হবে।অতঃপর ডান পাশে এবং বাম পাশে সালাম ফেরাতে হবে।সব শেষে মোনাজাত ধরতে হবে।এভাবেই মাগরিবের দু রাকাত সুন্নত আদায় করা যায়।
মাগরিবের নামাজের পর নফল নামাজ
মাগরিব মোট পাঁচ রাকাত নামাজ।তিন রাকাত ফরজ,দুই রাকাত সুন্নত।আবার কেউ কেউ নামাজ শেষে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে থাকে।ইহা বাধ্যতামূলক নয়।
দেখুনঃ এশার নামাজ কয় রাকাত ও কি কি
নফল নামাজ হল নফল ইবাদত। মুসলিমগণের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে নফল নামাজ।কেউ কেউ মোট ৭ রাকাত নামাজ আদায় করে,আবার কেউ কেউ ৫ রাকাত নামাজ আদায় করে।