[Check] ই পাসপোর্ট কোন কোন জেলায় চালু হয়েছে
আপনারা হয়তো এই পাসপোর্ট তৈরির কথা ভাবছেন কিন্তু সব জেলায় পাসপোর্ট করার সুবিধা নেই । আপনারা কিছু কিছু এলাকা থেকে ই-পাসপোর্ট সার্ভিস নিতে পারেন। সে প্রক্রিয়া আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব । আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সর্বপ্রথম 6 টি জেলায় ই পাসপোর্ট এর কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ , কক্সবাজার , বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি জেলায় একযোগে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ।
উদ্বোধনের পর পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা নিয়ম অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন উ। দ্বোধনের মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েব লিংক খুলে দেওয়া হবে। এরপর থেকে http://www.dip.gov.bd/ ওয়েবসাইটে
অথবা https://www.epassport.gov.bd/
সে তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব । আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সরকারের পড়লে বুঝতে পারবেন । ই-পাসপোর্ট কিভাবে তৈরি করবেন এবং ই-পাসপোর্ট সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য।
ই-পাসপোর্টের বড় একটি সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে ই গেট ব্যবহার করে খুব দ্রুত এবং সহজে ভ্রমণকারীরা যাতায়াত করতে পারবেন । ফলে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না ।
এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশন দ্রুত হয়ে যাবে। ই গেট এ নির্দিষ্ট স্থানে পাসপোর্ট রেখে দাঁড়ালে ক্যামেরা ছবি তুলে রাখবে । থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবস্থাও। সব ঠিক থাকলে তিনি ইমিগ্রেশন পেরিয়ে যেতে পারবেন। সমস্যা থাকলে জ্বলে উঠবে লালবাতি।
কারো বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি জানা যাবে সেই সঙ্গে। আপনারা অনেকেই জানতে চাচ্ছেন যে , বাংলাদেশ পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের 140 টি দেশের ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করা যায় ।
এসিআই এর সুবিধা দেয় ভুটান, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ , নেপাল , শ্রীলঙ্কা ও পূর্ব তিমুর। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার 16 টি দেশ ওশেনিয়া অঞ্চলের সাতটি ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের 12 টি দেশে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ভিসা ফ্রি সুবিধা।
এসব দেশে আপনারা ভিসা ছাড়াই শুধুমাত্র পাসপোর্টের মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারবেন। সর্বমোট 50 দেশে আপনারা ভিসা ছাড়া ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে যে কোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন । তবে ইসরাইলে আপনারা কোন ধরনের ভ্রমণ করতে পারবে না ।
শুধুমাত্র ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই। এমনকি সে দেশে কোন ধরনের দূতাবাস নেই। আপনারা হয়তো এই পাসপোর্টের সুবিধা সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছিলেন । এরই ধারাবাহিকতায় আমি আজকে আপনাদের জানাব ই-পাসপোর্ট এর সুবিধা অসুবিধা নিয়ে।
119 তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট সার্ভিস চালু করা হয়েছে। অভিবাসন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে যে, দেশের নাগরিকদের মধ্যে প্রথম ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ
এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ই পাসপোর্ট এর মাধ্যমে 38 ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। বর্তমানে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ডাটাবেজে যেসব তথ্য আছে। তা ই-পাসপোর্ট স্থানান্তর করা হবে ।
পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর এবং 10 বছর । 48 পৃষ্ঠার এবং 64 পৃষ্ঠার দুই ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করা হবে। তাহলে বন্ধুরা আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সকল তথ্য জানিয়ে দিতে পেরেছি আশা করি।