ফেরাউন কত ফুট লম্বা ছিল এবং ফেরাউন কত হাত লম্বা ছিল
ফেরাউন কোন ব্যক্তির নাম নয়। ফেরাউন হচ্ছে বনি ইসরাইল এর সময়কার শাসকদের উপাধি। তখনকার সময়ে মিশরে রাজা বাদশাদেরকে ফেরাউন বা ফারাও বলা হতো। তেমনি মুসা (আঃ) এর জন্মের সময় মিশরে একজন ফেরাউন ছিলেন।
আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব এই ফেরাউন সম্পর্কে। আপনারা যদি ফেরাউন এর উচ্চতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
আমাদের এই পোস্টটি পড়লে আপনারা ফেরাউনের উচ্চতা কত ছিল এই বিষয়ে জানতে পারবেন। এছাড়াও আপনারা পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন যে ফেরাউনের লাশ কেন পচেনি এবং ফেরাউনের লাশ কোথায় আছে এ বিষয়ে।
নবী হযরত মুসা (আঃ) এর জন্মের সময় যে ফেরাউন ছিলেন তিনি অত্যন্ত অসৎ একজন ব্যক্তি। তিনি গরিবদের উপর অনেক অত্যাচার করতেন। মানুষ হত্যা করতেন। এছাড়াও মিশরের সকল গরিব, দুর্বল লোকদের ওপর নির্যাতন চালাতেন।
তিনি নিজেকে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় বাদশা বলে মনে করতেন। এছাড়াও তিনি নিজেকে খোদা দাবি করতেন। আল্লাহর তাওহীদে তিনি বিশ্বাস করতেন না। তার পাপ কাজ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার
কারণে আল্লাহ তাআলা তাকে ধ্বংস করার জন্য বা তার শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য দুনিয়াতে মুসা (আঃ) কে প্রেরণ করেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন সূরাতে হযরত মুসা (আঃ) ও ফেরাউনের বর্ণনা দিয়েছেন
এবং তিনি এ থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। ফেরাউন কত ফুট লম্বা ছিল এই বিষয়টি অনেকে জানতে চায়। তাই আমরা এই পোস্টটিতে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। অনেক আলেমরাই আছেন যারা বলেন যে,
ফেরাউন পাঁচ ফুট অথবা ছয় ফুট লম্বা ছিলেন। তবে এটি নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। ফেরাউনকে দেখে মানুষ যেন শিক্ষা নেয় এবং আল্লাহর তাওহীদে বিশ্বাস করে বা আল্লাহর সাথে শিরক করলে
তার পরিণাম কি হয় এটি জানার জন্য আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের লাশকে অকৃত্রিমভাবেই না পচিয়ে রেখেছেন। ফেরাউন জীবিত থাকতে গরিবদের উপর অত্যাচার করেছেন, কুফরি করেছেন এবং নিজেকে খোদা দাবি করেছেন।
যার কারণে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দিয়েছেন। তাই আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদের উচিত ফেরাউন যে সকল কাজগুলো করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা এবং আল্লাহর তাওহীদের বিশ্বাস করা।
আল্লাহর এবাদত করা। কারণ আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা একসময় তার পাপের শাস্তি দেন। যেমন, তিনি ফেরাউনকে ও দিয়েছেন।
আল্লাহ তাআলা ফেরাউনকে যখন লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মারেন তখন আল্লাহ তার কুদরতিভাবে এই পানিতে তার লাশকে বহু বছর অক্ষত রেখেছিল। দীর্ঘ কয়েক বছর পর মিশরীয়রা
তার লাশকে উদ্ধার করে মিশরের জাতীয় জাদুঘরে রেখে দেন। আল্লাহর কুদরতি ভাবে এখনো পর্যন্ত ফেরাউনের লাশ কোন কৃত্রিম পদার্থ ছাড়াই অক্ষত রয়েছে।
কেউ যদি ফেরাউনের লাশ দেখতে চায় তাহলে তাকে মিশরের জাতীয় জাদুঘরে যেতে হবে। মানুষ যেন ফেরাউনের লাশ দেখে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এর জন্য আল্লাহ তাআলা ফেরাউনের লাশকে এখনো অক্ষত অবস্থায় রেখেছেন।