কসর নামাজের নিয়ম, নিয়ত (বাংলা ও আরবি) দূরত্ব, মাসআলা
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে কসর নামাজের নিয়ম এবং কসর নামাজ কোন সময় পড়তে হয়। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। মুসাফির সফর অবস্থায় কোন স্থানীয় ইমামের পিছনে নামাজ নিয়ত না
করলে তার জন্য চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়া জরুরী। এটাকে কছরের নামাজ বলে। এটা ইসলামের বিধান মুসাফির চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা তার মত মুসাফির ইমামের পিছনে আদায় করলে।
নামাজ কসর করা জরুরি। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে মুসাফিরের ক্ষেত্রে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিবেন এবং দেখে নিবেন।
বেশ কিছুদিন ধরে অনেকেই আমার কাছে কসর নামাজের নিয়ম এবং কিভাবে কসর নামাজের নিয়ত করতে হয়৷ কসর নামাজের শর্ত কি? নামাজ কসর কখন করতে হয়? মেয়েদের কসর নামাজ সহ কসর নামাজ নিয়ে বিস্তারিত লিখতে বলেন।
আর সেজন্যই সকলের কথা বিবেচনা করে কোরআন এবং হাদিসের আলোকে কসর নামাজ আদায় করার নিয়ম এবং নিয়ত নিয়ে আলোচনা করতেছি। মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়াকে কসরের
নামাজ বলে এটা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য সহজতা চান। কখন কঠিন আরো তার মাকসাদ নয়। তাই সফর বা ভ্রমণের ক্লান্তির দিকে লক্ষ্য করে। ফরজ চার রাকাত বিশিষ্ট জোহর, আসর,
এশার সালাতকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত ফরজ লরেছেন। সুবহানাল্লাহ। শরীয়তের পরিভাষায়, যদি কোন ব্যক্তি মোটামুটি ৪৮ মাইল (৭৭.২৩২ কিলোমিটার) রাস্তা অতিক্রম করে কোন স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকার লোকালয় থেকে বের হয়,
তাকে মুসাফির বলা হয়। আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে কসর নামাজ পড়ার শর্ত নিয়ে আলোচনা করব। কসরের নামাজ পড়া শর্ত হলো মুসাফির হওয়া। ৪৮ মাইল বা এর চেয়ে বেশি সফর করার নিয়তে কেউ
যদি নিজ গ্রাম বা শহরের সীমানা অতিক্রম করে। তবে সে তখন মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে এবং নামাজ বছর হবে অর্থাৎ জোহর আসর ও এশার ফরজ নামাজ দুই রাকাত করে আদায় হবে। আর সফর অবস্থায় কোনো স্থানে একসাথে ১৫ দিন
অবস্থানের নিয়ত না করা পর্যন্ত মুসাফির থাকবে। কোনো স্থানে একসাথে ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত করলে মুকিম গণ্য হবে এবং পূর্ণ নামায পড়তে হবে। আপনার অনেক সময় ইন্টারনেটে এসে কসর নামাজের নিয়ত সম্পর্কে জানতে চান।
আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব। যারা মুসাফির তাদের ক্ষেত্রে কসর নামাজ পড়া জরুরী। তিনি যদি সেখানে ১৫ দিনের কম সময় থাকার নিয়ত করেন, তবে চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়বেন।
আকাশ পথে সফরের ক্ষেত্রেও দূরত্বের হিসাব স্থলভাগে সফরের দূরত্বের অনুপাতে হবে। অর্থাৎ স্থলভাগের ৭৮ কিলোমিটার পরিমাণ দূরত্বের সফর হলে আকাশপথে মুসাফির হবে আশা করি বন্ধুরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন।