ইচ্ছাকৃত রোজা ভঙ্গের কাফফারা এবং রোজার কাফফারা ২০২৪ কত টাকা [এখানে দেখুন]
সাওম বা রোজার অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। আল্লাহ তাআলার নির্দেশে প্রত্যেক ব্যক্তিকে রোজা রাখতে হয়। রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর রমজান মাসের রোজা ফরজ করে দিয়েছেন।
যে ব্যক্তি রোযা না রাখে সে সহজে জান্নাতে প্রবেশ করতে পরেনা। আল্লাহ তাআলা রোজা সম্পর্কে কতগুলো পবিত্র কোরআনে কতগুলো আয়াত নাযিল করেছেন। রোজাদার ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা অনেক সওয়াব দান করেন।
রোজার ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিসের অনেক বর্ণনা রয়েছে। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে আলাদা জায়গা করে দেন। রোজা রাখার পর রোজাদার ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা সকল খারাপ কাজ,
পরনিন্দা ও গীবত এবং গালিগালাজ সহ বড় কোন গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। কারণ রোজা রেখে গালি-গালাজ করলে বা পরনিন্দা-গীবত করলে তার রোজা মাকরূহ্ হয়ে যায়।
রোজা রাখার পর বেশি বেশি করে আল্লাহর ইবাদাত করতে হয়। কেউ যদি রোজা রেখে আল্লাহ তাআলার এবাদত করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে অধিক সওয়াব দান করেন।
রোজার মাস হচ্ছে রহমতের মাস। রোজার মাসে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে অসংখ্য ফেরেশতা প্রেরণ করেন এবং সকল কবরবাসীকে তাদের সকল পাপ কাজের শাস্তি থেকে বিরত রাখেন।
যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করে তাকে ঐ রোজার জন্য কাফফারা দিতে হয়। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি রোজা ভাঙ্গে তাহলে তাকে একটি রোজার পরিবর্তে কাজা 60 টি রোজা রাখতে হয়। রোজা ভঙ্গকারী ব্যক্তি যদি 60 টি রোজা রাখতে অক্ষম হয়
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৪
তাহলে তাকে 60 টি রোজার পরিবর্তে 60 জন গরিব-মিসকিনকে দুই বেলা খাবার খাওয়াতে হয়। কেউ যদি খাবার খাওয়াতে না পারে তাহলে 60 টি সদকায়ে ফিতর বা তার মূল্য 60 জন মিসকীনকে দিলেও চলবে।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন কিছু পানাহার না করাই হচ্ছে রোজা। কোনো রুগ্ন ব্যক্তি, পাগল, নাবালক ও মুসাফির ছাড়া প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা রোজা রাখতে বলেছেন।
যে ব্যক্তি রোজার ফজিলত অস্বীকার করে এবং রোজা নিয়ে উপহাস করে সে ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করে তাহলে তাকে কাফফারা স্বরূপ কাযা রোজা রাখতে হবে। কাযা রোজা রাখতে হলে প্রথমে রোজার নিয়ত করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তি মধ্যে নামাজ অন্যতম। যে ব্যক্তি দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
কারণ নামাজ হচ্ছে জান্নাতের চাবি। কেউ যদি কোন কারনে সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতে না পারে তাহলে সে কাযা নামাজ আদায় করতে পারবে। কাযা নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তার
ওই নামাজের গুনাহ মাফ করবেন। কিন্তু কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কারণ ছাড়া নামাজ আদায় না করে তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। ইচ্ছাকৃত ভাবে নামাজ আদায় না
করলে সেই নামাজে কোন কাফফারা হয়না। যদি ওই নামাজের জন্য কাফফারা দেওয়া ও হয় তাহলেও আল্লাহ তা কবুল করেন না। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাযা না করা।