রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি এবং মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ [ক্লিক করে দেখুন]
আল্লাহ তায়ালার ফরয ইবাদতগুলোর মধ্যে রোজা একটি। রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে তৃতীয় স্তম্ভ। নামাজের পরে রোজার স্থান। কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় না করে তাহলে তার যেমন গুনাহ হয়,
তেমনি কেউ যদি ফরজ রোজা না রাখে তাহলে তার ও তেমন গুনাহ হয়। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে অন্যান্য নফল রোজা ছাড়াও রমজান মাসে ফরজ রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা না রাখবে
তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়বে। রোজার আরবি শব্দ হচ্ছে সাওম। যার অর্থ বিরত থাকা। সাওমকে আমরা ফারসি ভাষায় রোজা বলে থাকি। রমজান মাস হচ্ছে রহমতের মাস। এ মাসে প্রত্যেক ব্যক্তিকে আল্লাহর নির্দেশে রোজা রাখতে হয়
এবং প্রত্যেক ব্যক্তিকে সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। এই রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা দুনিয়াতে অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা নাযিল করেন। রোজা হচ্ছে সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকা।
রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি
রোজা রাখতে হলে প্রথমে রোজার জন্য নিয়ত করতে হয়। রোজার নিয়ত করা ফরজ। রোজার নিয়ত মুখে না পড়ে মনে মনে ও করতে পারবে।কেউ যদি মনে মনে রোজার নিয়ত করে তাহলে ও তার রোযা আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন।
রোজা রাখার পর বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহর নির্ধারিত কতগুলো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কেউ যদি আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত কাজগুলো থেকে বিরত না থাকে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
অনেক মুসলমান ব্যক্তিরাই জানেনা যে, কোন কোন কাজগুলো করলে রোজা ভেঙ্গে যায়। আর তাই রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জানতে অনেকেই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকেন।
আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
এর জন্য আজকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে রোজা ভাঙার কারণ সম্পর্কে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছি। আপনারা যারা রোজা ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়লে রোজা ভঙ্গের কারণ সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারবেন।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের সূরা আল বাকারাতে রোজা ভঙ্গের কারণগুলো উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন কারণে রোজা রাখার পরও অনেক ব্যক্তির রোজা ভেঙে যায়। যেমন – কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে।
শিঙ্গা লাগানো বা এই জাতীয় কোন কাজ করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কিছু পানাহার করে তাহলে তার রোযা ভেঙ্গে যাবে। মহিলাদের হায়েজ নেফাস এর কারনে ও রোজা ভেঙ্গে যাবে।
আমাদের ওয়েবসাইটে রোজা ভাঙ্গে কারণসমূহ সম্পর্কে আরো কতগুলো পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আপনার যদি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে থাকুন এবং অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে থাকুন।
তাহলে আপনারা রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ বিস্তারিত জানতে পারবেন। রোজা অবস্থায় কাউকে গালি-গালাজ করা, মন্দ কথা বলা ঠিক নয়। কারণ যে ব্যক্তি রোজা রেখে গালি-গালাজ করে সে জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেতে পারে না।
রোজা অবস্থায় ছোট-বড় কাউকে গালি-গালাজ করা উচিত ন।য় আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক ব্যক্তিকে রমজান মাসে সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। রোজা রেখে গালি দেওয়া হচ্ছে মাকরূহ। রোজা রেখে বেশি বেশি করে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে হয়।
রোজার মাসে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করলে অন্যান্য সময়ের চেয়ে আল্লাহ তাআলা ওই ইবাদতের সওয়াব দ্বিগুণ করে দেন। তাই আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত রোজা রেখে কাউকে গালি গালাজ না করে বা কারো গীবত না করে বেশি করে আল্লাহর এবাদত বন্দেগী করা।