সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, ফজিলত, আধ্যাত্মিক গুরুত্ব [সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয় এখান থেকে জেনে নিন]

সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, ফজিলত, আধ্যাত্মিক গুরুত্ব [সম্পর্কে বিস্তারিত সকল বিষয় এখান থেকে জেনে নিন]

সাওম অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। সাওমকে ফারসি ভাষাতে রোজা বলা হয়। 2022 সালের রোজা আগামী 2 এপ্রিল থেকে শুরু হতে পারে। সাওম বা রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ তায়ালা নাবালক, পাগল, মুসাফির,

রুগ্ন ব্যক্তি ছাড়া প্রত্যেক ব্যক্তির ওপর রমজান মাসে সাওম বা রোজা ফরজ করে দিয়েছেন। রমজান মাস হচ্ছে পবিত্র মাস। এই মাসে প্রত্যেক মুমিন বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখে থাকে। সাওম হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ।

যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্দেশে সাওম বা রোযা পালন না করে সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে না। তাই আজকে আমরা আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করব সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, রোজার ফজিলত ও নৈতিক শিক্ষা নিয়ে।

আপনারা যারা সাওম বা রোজা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান তারা আমাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন. সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন কিছু পানাহার না করে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকা হচ্ছে সাওম।

সাওম পালন করা হয় রমজান মাসে। আরবি অন্যান্য মাসের মধ্যে রমজান মাসের গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ রমজান মাস রহমতের মাস। আল্লাহ তাআলা এই মাসে দুনিয়াতে অসংখ্য রহমতের ফেরেশতা প্রেরণ করেন

এবং এই ফেরেশতারা প্রত্যেক রোজাদার ব্যক্তির জন্যে দিনরাত আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকেন। রমজান মাসে কেউ যদি সাওম পালন করে বেশি বেশি আল্লাহর এবাদত করে তখন আল্লাহ তার ইবাদতের সওয়াব দ্বিগুণ করে দেন।

রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা সকল ধনী ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদেরকে গরীব মিসকিনদের মধ্যে যাকাত ফিতরা দিতে বলেছেন। রমজান মাসে সাওম পালন করে যে ব্যক্তি দান-খয়রাত করে আল্লাহ তার সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেন।

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির  উচিত রমজান মাসে সাওম পালন করা। মহান আল্লাহ তাআলা রোজা বিষয়ে পবিত্র কুরআন মাজিদে কতগুলো আয়াত নাযিল করেছেন। এছাড়াও আমাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

বিভিন্ন হাদিসে রোজার ফজিলত এর বর্ণনা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা রোজার অনেক ফজিলত দিয়েছেন। তাই আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব রোজার ফজিলত ও গুরুত্ব নিয়ে। আপনার যারা এ বিষয়ে জানতে চান তারা আমাদের পোস্টটি পড়ুন।

রোজাদার ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের সবগুলো রোজা পালন করবে আমি তাকে জান্নাতে আলাদা মর্যাদা দান করবে ।

এক হাদীসে আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমজান মাসের সবগুলো রোজা রাখল সে যেন আমার সাথে সাক্ষাত করলো।

সাওম পালনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন নৈতিক শিক্ষা লাভ করে থাকি। আজকে আমরা এই পোস্টে আলোচনা করব শাওন এর নৈতিক শিক্ষা নিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সাওম পালন করে সে যেন সকল পাপ কাজ থেকে দূরে থাকে।

আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সাওম পারনের সময় বেশি বেশি করে আল্লাহর এবাদত করে। কোরআন তেলাওয়াত করে। জিকির করে থাকে এবং একে অন্যকে সাহায্য সহযোগিতা করে। সাওম পালনকারী ব্যক্তি সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করে থাকে।

মিথ্যা কথা বলে না। আমাদের ওয়েবসাইটে সাওম এর নৈতিক শিক্ষা নিয়ে আরো কতগুলো পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আপনারা  যদি সাওম এর নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইরটে অন্যান্য পোস্টগুলো দেখতে থাকুন।

Bangla Master

Bangla Master ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে স্বাগতম। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা বিষয়ক সকল তথ্য আপনি জানতে পারবেন। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল আপডেট তথ্য এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হয়।