তাহাজ্জুদের নামাজ কিভাবে পড়ে [জানতে এখনই ক্লিক করুন]
মহান আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছে। এই পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও আল্লাহকে খুশি করার জন্য কতগুলো নামাজ পড়া যায়। এই নামাজ গুলো নফল ও সুন্নত হয়ে থাকে।
আমরা আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে। প্রতিটি ওয়াক্ত নামাজের ভিন্ন ভিন্ন ফজিলত রয়েছে। এসব নামাজের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ একটি। তাহাজ্জুদের নামাজ হচ্ছে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। তাহাজ্জুদের নামাজ কখন কিভাবে পড়তে হয়
বা এর ফজিলত কি তা অনেকেই জানেনা। আজকে আমরা আমাদের পোস্টে আলোচনা করব তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয়,তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নত নাকি নফল, তাহাজ্জুদ নামাজ কখন পড়তে হয় ও তার ফজিলত কি।
আপনার যদি তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। সুন্নত ও নফল নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদ নামাজ অন্যতম এবং এর ফজিলত ও অনেক বেশি। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হয় রাত বারোটার পর বা মধ্যরাতে।
তাহাজ্জুদ নামাজের শেষ সময় হচ্ছে ফরজ নামাজের আগে পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ এর কোনো নির্দিষ্ট রাকাত নেই। তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হয়। তাহাজ্জুদ নামাজ 4 রাকাত, 8 রাকাত ও 12 রাকাত পড়া যায়।
তাহাজ্জুদ নামাজে আল্লাহ তায়ালা অনেক ফজিলত দিয়েছেন। আমাদের নবী করীম(সাঃ) প্রতিরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন।তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত এতই বেশি যে মহানবী (সাঃ) বলেছেন,
মৃত্যুর আগে একবার হলেও যেন সবাই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে। তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয় অনেক মুসলমানরাই তা জানেনা। তাই আজকে আমাদের এই পোস্টে তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
আপনারা যদি কিভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হয় সেই বিষয়ে জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে হলে প্রথমেই আপনাকে জায়নামাজে দাঁড়িয়ে কিবলামুখী হয়ে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত করতে হবে। এরপর আপনাকে আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর বাধতে হবে।
তাকবীরে তাহরীমাহ্ বাধার পর আপনাকে প্রথমে ছানা পড়ে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। এরপর আপনাকে রুকুর তাসবীহ্ দিতে হবে। রুকুর তাজবীহ্ দেওয়ার পর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আবার সেজদার তাসবীহ্ দিতে হবে।
এরপর পুনরায় একইভাবে সূরা, রুকু, সেজদা দিয়ে বসে তাশাহুদ, দরুদ শরীফ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরাতে হবে। এভাবেই দুই রাকাত দুই রাকাত করে নামাজ তাহাজ্জুদ এর নামাজ পড়তে হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন। কারণ মধ্যরাতে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আসমানে অবতীর্ণ হন। তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে তাই দেন।
আল্লাহ তায়ালা তখন বলেন যে, তোমরা আমার কাছে দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করব।
তাহাজ্জুদ নামাজ নিয়ে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অন্য পোস্টগুলোতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের অন্যান্য পোস্টগুলো পড়তে থাকুন।
আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা নিয়মিত নতুন নতুন পোস্ট প্রকাশ করে থাকি। আপনারা যদি নতুন নতুন তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিট করুন।